মহাবিশ্বের মতোই সীমাহীন একে নিয়ে আমাদের কৌতুহল ও বিস্ময়। অসীম স্থানকাল নিয়ে গঠিত মহাবিশ্ব, যার খানিকটা বিজ্ঞানীরা জানতে পারলেও বেশিরভাগই এখনও অজানা রয়ে গেছে। আর এতোসব জটিল প্রশ্নের সঙ্গে খুব নিরীহ প্রশ্ন হলো, মহাবিশ্বের আদি রং কী ছিল?
সম্প্রতি এর উত্তর জানা যেতে পারে ‘দ্য ইউনিভার্স ইন ১০০ কালার্স: উইয়ার্ড অ্যান্ড ওয়ান্ডার্স কালার্স ফ্রম সায়েন্স অ্যান্ড নেচার’ বই থেকে, যেটি লিখেছেন টাইলার থ্রেশার ও টেরি মুডজ। তাদের সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ‘পপুলার সায়েন্স’।
তিন লাখ আশি হাজার বছর বয়সে মহাবিশ্বের রং ছিল উজ্জ্বল-উষ্ণ চকচকে পিচ কমলা। এর পর মহাবিশ্বের তাপমাত্রা নেমে আসে তিন হাজার কেলভিন বা ২৭২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (৪৯৩৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
এ সময়ের আগে শিশু মহাবিশ্বের প্লাজমার এত ঘন ছিল যে এর মধ্য দিয়ে আলো যেতে পারত না। মহাবিশ্বে কোনো বস্তু তৈরির আগে দরকার ছিল এর তাপমাত্রা যথেষ্ট কমে আসা, যার ফলে পরমাণুর গঠন তৈরি হতে পারে। আর পরমাণু তৈরি না হলে রং তৈরিও সম্ভব নয়।
বর্তমানে মহাবিশ্বের গড় তাপমাত্রা তিন কেলভিনের ঠিক নীচে, যা প্রাচীন মহাবিশ্বের তিন হাজার কেলভিন তাপমাত্রা থেকে সরাসরি পতন। এই অনুমানটি এসেছে ‘কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন’ হিসাব করে, যেটিকে ধরা হয় বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের মূল বিষয় হিসাবে। আদি মহাবিশ্বে তাপমাত্রা সমানভাবে বণ্টিত ছিল, যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য মেলে এক কৃষ্ণবস্তুর সঙ্গে।
এটি এমন এক বস্তু বা জিনিস যা তৈরি করা উপাদানের বদলে কেবল এর তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে রং দেখায়। মানুষের পক্ষে যদি এই রংটি আদি মহাবিশ্বের স্থান-কালের পরিব্যাপ্তির সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হত তবে আমাদের প্রাথমিক মহাবিশ্বের রং হত উষ্ণ কমলা ক্যাম্পফায়ারের মতো।
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান ২৫ ক্যাডারের ‘বঞ্চিত’ ১৯৪ কর্মকর্তা
আর সেই উজ্জ্বল কমলা রংটি ধীরে ধীরে গাঢ় ও বিবর্ণ হতে থাকবে যতক্ষণ না মহাবিশ্বের বয়স প্রায় একশ মিলিয়ন বছরে গিয়ে দাঁড়ায়, সেই সময় জন্ম হয় প্রথম নক্ষত্রের, যার ফলে ক্রমশ তৈরি হয় আমাদের চেনা আজকের মহাবিশ্ব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।