কেন আমাদের ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে এত জানতে হবে? ব্ল্যাকহোল আমাদের মহাবিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমরা জানছি যে আমাদের নিজস্ব ছায়াপথ অর্থাৎ মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে আছে একটি বিশাল ব্ল্যাকহোল। এটা আমাদের সৌরজগৎ থেকে প্রায় ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এবং এর আনুমানিক ভর আমাদের সূর্যের ভরের ৪০ লাখ গুণ। সত্যি কথা বলতে, ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে আমরা এখনো তেমন কিছুই জানি না।
ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে জানার জন্য মহাকর্ষীয় তরঙ্গ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? কারণ, ব্ল্যাকহোলগুলো তাদের নিজস্ব কোনো আলো (বিদ্যুত্চুম্বকীয় তরঙ্গ) বিকিরণ করে না, অথবা অন্যান্য উত্স থেকে আসা আলো প্রতিফলিত করে না। অর্থাৎ তারা টেলিস্কোপ মূলত অদৃশ্য। তাই এ রকম অন্ধকারে কী হচ্ছে জানতে চাইলে দরকার মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। কারণ, মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ব্ল্যাকহোল থেকে সরাসরি আসে।
এই তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে আমরা বলতে পারি ব্ল্যাকহোলগুলোর প্রতিটির ভর কত। সংঘর্ষের আগে তারা নিজেদের অক্ষে এবং একে অপরের চারপাশে কীভাবে ঘুরছিল। মিলিত হওয়ার পর তৈরি হওয়া নতুন ব্ল্যাকহোলের ভর ও তার ঘূর্ণন কত। তাদের সংঘর্ষ কতটা শক্তিশালী ছিল এবং তা কত দূরে ঘটেছে—এমন আরও অনেক কিছু।
ব্ল্যাকহোল কি জোড়ায় জোড়ায় জন্মগ্রহণ করে? এদের কি জোড়ায় জোড়ায় মৃত্যু হয়? এ ধরনের সংঘর্ষ কত ঘন ঘন হয়? মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে আমরা তা জানতে পারছি। কিন্তু পুরোপুরি জানতে আরও তরঙ্গ শনাক্ত করতে হবে এবং গবেষণা করতে হবে। পদার্থবিজ্ঞানে একটা বড় রহস্য হচ্ছে ডার্ক এনার্জি (Dark Energy) বা অন্ধকার শক্তি।
স্ট্যান্ডার্ড কসমোলজি অনুযায়ী, মহাবিশ্বের মোট শক্তির ৬৮ শতাংশ হচ্ছে ডার্ক এনার্জি। এটা ধারণা করা হচ্ছে যে ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ডার্ক এনার্জির প্রকৃতি বুঝতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে আইনস্টাইনের সাধারণ তত্ত্বকে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।