মহাশূন্যের আসলে শূন্যতা কতটুকু এ বিষয় নিয়ে অনেক মানুষ চিন্তা-ভাবনা করেছে এবং গবেষণা করছে। একটা সময় মানুষ বায়ুমণ্ডলকে মহাশূন্য বলে মনে করত। পরে জানা গেল বাতাসেরও ওজন রয়েছে। বায়ুমুন্ডলের এ কথা অবশ্য মহাশূন্যের বেলায় বেশ খাটে। গ্রহাণু, নক্ষত্র, ধূলিকণা ইত্যাদির অস্তিত্ব রয়েছে মহাশূন্যে।
অথচ রাতের আকাশের দিকে তাকালে অসীম শূন্যতার কথাই মনে পড়ে। বাংলায় এই শূন্যতাকে বলা হয় মহাশূন্য। মহাশূন্যের বিভিন্ন বস্তুর থাকার জায়গা হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা যেতে পারে। পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে রয়েছে মহাশূন্য।
তবে মহাশূন্যের শূন্যতা আসলে কী এ প্রশ্নের উত্তর বহু বছর ধরে মানুষ খুঁজছে। মহাশূন্যের বিস্তীর্ণ এলাকা ইথারে পরিপূর্ণ। তবে ইথারের কারণে সত্যিকারের শূন্যতা তৈরি হয় না। আগে ইথারের কারণে সত্যিকারের শূন্যতা তৈরি হয় বলে মনে করা হতো। তবে বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, এটি সত্য নয়। এই ইথার আলোর তরঙ্গের মাধ্যমে দূরে সরে যেতে পারে।
আলোর গতি নিয়ে একটি পরীক্ষা করা হয়। সে পরীক্ষা ব্যর্থ হলে বিজ্ঞানীরা ইথারের ধারণা থেকে সরে আসেন। মহাশূন্যের চারপাশে প্রচুর চার্জযুক্ত কণা এবং হাইড্রোজেন ঘুরে বেড়াচ্ছে। মহাবিশ্বের খালি জায়গায় পৌঁছানোর জন্য আমাদের মহাজগতিক শূন্যতায় যেতে হবে।
আমাদের কাছের ছায়াপর থেকে কয়েক লাখ বছর দূরে যেতে হবে। মহাশূন্যের খালি জায়গায় কোন ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব নেই। মহাশূন্যে একেবারে খালি জায়গা পাওয়া কঠিন। সেখানে নিউট্রিনো কণা থাকতে পারে। মহাবিশ্বের শুরু থেকে যে বিকিরণ রয়েছে তার দেখা মিলবে এখানে। মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ হচ্ছে সেই বিকিরণ কণা যা শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত নিজের অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। এই বিকিরণ থেকে পালানো একেবারে অসম্ভব বলে মনে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।