মহাকাশে বাতাস নেই। তাই চিৎকার করলে কেউ শুনবে না আপনার কথা। খুব কাছে বোমা ফাটলেও পাবেন না শব্দ। তবে পোড়া বারুদের গন্ধ পাবেন। হ্যাঁ, আসলেই পাবেন। মহাকাশচারীরা নানা সময়ে মহাকাশে বিভিন্ন গন্ধ পাওয়ার কথা বলেছেন। প্রশ্ন হলো, মহাকাশে গন্ধ পাওয়া যায় কীভাবে?
গন্ধ মূলত অণু বা পরমাণুর রসায়নিক ধর্ম। আমাদের নাকের সংবেদী কোষের সঙ্গে বিশেষ অণু-পরমাণু মিথস্ক্রিয়ায় জড়ালে গন্ধ পাই। এরকম বিশেষ ধরনের অণু-পরমাণুর সংখ্যা কিন্তু কম নয়। ২০১৪ সালে বিশ্বখ্যাত নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী, আমাদের নাক প্রায় ১ ট্রিলিয়ন আলাদা গন্ধ শনাক্ত করতে পারে।
অণু-পরমাণু হিসেবে ভাবলে গন্ধকে বস্তু হিসেবে বিবেচনা করতেই পারেন। আর বস্তু চলাচলের জন্য মাধ্যম জরুরি নয়। শূন্যস্থানেও দিব্যি চলতে ফিরতে পারে এগুলো।
মহাকাশে সে সমস্যা নেই। আপনি যদি সুগন্ধি স্প্রে করেন, তবে কণাগুলো একই গতিতে সোজা পথে ছুটতে থাকবে। বাধা দেওয়ার কেউ নেই। সামনে কোনো প্রতিবন্ধকতা না পড়া পর্যন্ত এই ছোটা চলবে। একই গতিতে এসব কণা বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ছুটতে পারলে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ কোটিবারেরও বেশি ধাক্কা দিত বায়ুর বিভিন্ন কণাকে। বুঝতেই পারছেন, মহাকাশের বিশাল শূন্যতায় সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে যেকোনো গন্ধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।