জুমবাংলা ডেস্ক : চার লেনের মহাসড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহন থেকে টোল আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। কত হারে এই টোল নেওয়া হবে তা নির্ধারণে কাজ করছে সড়ক ও জনপদ (সওজ)। রবিবার (৩ জানুয়ারি) একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জোগাতেই সরকার টোল নিতে চায়। তবে ধীরগতির গাড়ি টোল ছাড়া মহাসড়কে চলতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের খসড়া টোলহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত থেকে জানা যায়, নির্মাণাধীন জয়দেবপুর-চন্দ্রা-এলেঙ্গা এবং এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হওয়ার পর টোল নেওয়া হবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একই সুবিধা চালুর পর চলাচলকারী যানবাহনকে টোল দিতে হবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক্সপ্রেসওয়ে, মহাসড়কে টোল নেওয়া হয়। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরাও টোলের পক্ষে বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তবে রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে টোল নিতেই হবে। এর আগে ২০২০ সালের আগস্টে একনেক সভায় চার লেনের মহাসড়ক ও ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে টোল নিতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেছেন, অবশ্যই টোল নেওয়া উচিত। টোলের ভালো দিক হলো, শুধু ব্যবহারকারীকেই টাকা গুনতে হয়। অন্যদের করের টাকা সড়কের ব্যয় ও রক্ষণাবেক্ষণে ঢালতে হয় না। সরকারের উচিত টোল থেকে পাওয়া টাকায় সড়ক নির্মাণের ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পৃথক তহবিল করা, যা দিয়ে নিয়মিত মেরামত করে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।