মাইক্রোমেটিওরয়েড গ্রহাণুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

মাইক্রোমেটিওরয়েড

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ তার পরের ২০ বছরের মধ্যে যেসব মিশনে যাবে এবং বৈজ্ঞানিক পরিচালনা করবে তার একটি বিস্তারিত ওভারভিউ নাসা দিয়েছে। এখানে জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক সংবেদনশীল বিষয়, বায়ুমণ্ডল থেকে বর্ণালী এবং দূরবর্তী ছায়াপথের দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে ইদানিং টেলিস্কোপের আয়নায় মাইক্রোমেটিওরয়েড গ্রহাণু দ্বারা আঘাত পাওয়ায় বিষয় নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

মাইক্রোমেটিওরয়েড

এখনো পর্যন্ত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এর সাফল্য কার্যকারিতা নেভিগেশন বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয়ে অনেক রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। তবে ওয়েব কীভাবে মাইক্রোমেটিওরয়েড গ্রহাণুটি দ্বারা আঘাতের শিকার হয়েছে এই বিষয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ওয়েবের আয়নায় আঘাত পাওয়ার কারণে অসংশোধনযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে।

এই সমস্যা নিয়ে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি কাজ করছে। টেলিস্কোপের আয়নাটি সাজানো হয়েছে ১৮ টি ষড়ভুজের অংশ নিয়ে গঠিত। প্রত্যেকটি বেরেলিয়াম ধাতু দিয়ে গঠিত। ‌সর্বোচ্চ রেজুলেশন এবং সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করা যেনো যায় সেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ওই কণা দ্বারা আঘাত পাওয়ার কারণে ফ্রন্ট ওয়েভ  ত্রুটি দেখা দিতে পারে। পরে ফলে আলোর বিচ্যুতির গণনায় সঠিক ফল না আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

২২ থেকে ২৪ মের মধ্যে মাইক্রোমেটিওরয়েড গ্রহাণুটি সেগমেন্ট সি৩-তে আঘাত করেছিল। এতে ওই অংশের সামগ্রিক চিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটায় যা সংশোধন করা সম্ভব না। তবে এটি টেলিস্কোপটির ছোট অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।

মাইক্রোমেটিওরয়েড দ্বারা আঘাতের কারণে টেলিস্কোপের দীর্ঘমেয়াদী অপটিক্যাল কর্মক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ‌ওয়েবে এর প্রাথমিক আয়নায় ছয়টি পৃষ্ঠের বিকৃতি লক্ষ্য করা গেছে। আয়নার ওয়েভ ফন্টে অবক্ষয় ঘটিয়েছে। তবে প্রাথমিক আয়নার নিচের ডান দিকে একটু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।