একটি মাইনিং পুলে, অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে কাজ করে এবং রিওয়ার্ড তাদের মধ্যে ভাগ করা হয়ে থাকে। মাইনিং অ্যাক্টিভিটি শুরু করার জন্য মাইনিং পুল সবচেয়ে ভালো জায়গা, বিশেষ করে যদি আপনার কম্পিউটিং পাওয়ার বেশ কম হয়।
বিটকয়েন বা অন্যান্য প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সি অর্জন করা সহজ নয়। শুরুতে, কয়েকটি কার্ড বা এমনকি মাত্র একটি কার্ড দিয়েও মাইনিং লাভজনক ছিল। ASICs (অ্যাপ্লিকেশন-স্পেসিফিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট) হল বিশেষ মাইনিং কম্পিউটার এবং মাইনিং অ্যালগরিদম সমাধানের জন্য এটিকে অপ্টিমাইজ করা হয়।
বিটকয়েন মাইনিং নিয়ে ক্রমবর্ধমান জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাইনিং পুল তৈরি করা হয়েছিল। ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত মাইনিং এ এনার্জি খরচ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটি মাইনিং পুল হল ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনারদের একটি গ্রুপ যারা PoW ভিত্তিক নেটওয়ার্কগুলিতে ব্লকচেইনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গাণিতিক সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকে।
একটি মাইনিং পুলে, আপনি আপনার কম্পিউটাল পাওয়ার কম বা বেশি হওয়ার বিপরীতে অন্যান্য অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের সাথে টিম গঠন করতে সক্ষম হবেন। সবাইকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি ব্লক খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন। পুল দ্বারা একটি ব্লক পাওয়া গেলে আপনি রিওয়ার্ড পাবেন।
যখন একটি ব্লক পাওয়া যায়, এটি পূর্ববর্তী ব্লকগুলিতে যোগ করা হয়, ব্লকচেইন গঠন করে। অংশগ্রহণকারীরা তাদের অবদানের জন্য নেটওয়ার্ক দ্বারা পুরস্কৃত হয়। নেটওয়ার্কের জটিলতা ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারণে একাকী কাজ করে একটি ব্লক মাইনিং খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
যখন একজন মাইনার পুলে যোগ দেয়, তখন তাকে তার রিগ এবং সফ্টওয়্যারটিকে পুলের সার্ভারের সাথে সংযুক্ত করতে হয়। মাইনিং পুল সংযোগটি গ্রহণ করার পর মূল তথ্য প্রেরণ করা শুরু করে।
কাজ শেষে রিওয়ার্ড আনুপাতিকভাবে যারা মাইনিং এ অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে ভাগ করা হয়। হ্যাশরেট এখানে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। পুলের হ্যাশরেট যত বেশি হবে, একটি ব্লক খুজে পাওয়া এবং দ্রুত রিটার্ন পাওয়া তত সহজ হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।