চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসে অভিযানে যাচ্ছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সন্তান বাবর আলী।
নেপাল-তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত ২৯,০২৮ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টে অভিযান নিঃসন্দেহে দুরুহ একটা কাজ। একই অভিযানে ২৭,৯৪০ ফুট উচ্চতার মাউন্ট লোৎসে আরোহণের প্রচেষ্টা ব্যাপারটাকে করেছে আরো চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশ থেকে আগে এভারেস্ট আরোহণ হলেও একই অভিযানে এভারেস্ট এবং লোৎসে আরোহণের চেষ্টা হয়নি পূর্বে। সেই চ্যালেঞ্জই নিয়েছেন গত বেশ কয়েক বছর ধরে নিজেকে হিমালয়ের নানান চূড়ায় অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা বাবর।
শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান।
আরো বক্তব্য রাখেন ভাটিক্যাল ড্রিমার্স-এর সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দীন এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল নিটওয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ নূর ফয়সাল।
এই অভিযানে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই এই পর্বতারোহীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে বাবরের হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা।
পর্বতারোহণে বাবরের পথচলা শুরু ২০১৪ সাল থেকে। ট্রেকিং-এর জগতে তার পায়েখড়ি হয় ২০১০ সালে: পার্বত্য চট্টগ্রামের নানান পাহাড়ে পথচলার মধ্য দিয়ে। চট্টগ্রামের পর্বতারোহণ ক্লাব ভাটিক্যাল ড্রিমার্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। এই ক্লাবের হয়েই গত দশ বছরে হিমালয়ের নানান শিখরে অভিযান করে আসছেন তিনি। ভারতের উত্তরকাশীর নেহরু ইন্সটিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন ২০১৭ সালে। ২০২২ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম দুর্গম ও টেকনিক্যাল চূড়া আমা দাবলাম (২২,৩৪৯ ফুট) আরোহণ করেন বাবর।
সংবাদ সম্মলনে বাবর বলেন, ‘বেশিরভাগ পর্বতারোহীই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিন্দুতে দাঁড়িয়ে বাকি পৃথিবী দেখার স্বপ্ন দেখেন। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমি সব সময় চ্যালেঞ্জিং আর নতুন কিছু করতে পছন্দ করি বলেই একই অভিযানে এভারস্টের সাথে লোৎসে আরোহণের এই প্রচেষ্টা নিতে যাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১ এপ্রিল অভিযানের উদ্দেশ্যে নেপাল যাবেন বাবর। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানান সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। সপ্তাহ খানেকের ট্রেক শেষ পৌঁছাবেন বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হবে এখান থেকেই। বেস ক্যাম্প থেকে উপরের ক্যাম্পগুলোতে উঠানামা করে শরীরকে অতি উচ্চতার সাথে খাপ খাইয়ে নেবেন এই পর্বতারোহী। পুরো অভিযানে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মে মাসের ৩য় সপ্তাহ কিংবা শেষ সপ্তাহে চূড়ায় আরোহণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।