জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের দক্ষিণ দেওটি গ্রামে সোমবার (১০ আগস্ট) গভীর রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ‘পিডিবি’র অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আবু তাহের (৬৫) পলাতক রয়েছেন।
নিহতের ছেলে রুবেল হোসেন বাদী হয়ে বাবাকে আসাসি করে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বিকালে সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত গৃহবধুর নাম তাজ নাহার বেগম (৫৫)। তিনি চার সন্তানের জননী।
নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী রুবেল হোসেন জানান, কিছু দিন আগে তারা একটি জমি কেনেন। এ নিয়ে বাবা আবু তাহের তার মা এবং তাকে হত্যার হুমকি দেন। তিন দিন আগে তার মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবু তাহের তাকে আবারও হত্যার হুমকি দেন। সোমবার রাতে খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে কোনও এক সময় আবু তাহের ঘুমের মধ্যে তাজ নাহার বেগমকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে দরজা খোলা রেখে পালিয়ে যায়।
পরিবারের লোকজন সকালে নিহতের কক্ষে গিয়ে বিছানার ওপর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তারা সোনাইমুড়ী থানা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও খবর দেয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। আজ দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ছেলে রুবেল হোসেন বাদী হয়ে বিকালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তার বাবা
আবু তাহেরকে আসামি করা হয়েছে। ঘাতক আবু তাহেরকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দেওটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন শাকিল বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আবু তাহেরের সঙ্গে তার স্ত্রী তাজ নাহার বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে একাধিক সালিশি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।