জুমবাংলা ডেস্ক : কবি, সাহিত্যিক ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘অনেকেই বলছেন কবর সমান করে দিতে হবে। হাতুরি দিয়ে কবর ভেঙে সেখান থেকে কংকাল বের করেছেন। আপনাদের দেখি কত শক্তি আছে, পারলে জিয়াউর রহমানের কবর সমান করে দিন।’
আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজারে হামলার প্রতিবাদে ভাববৈঠকি কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, মাজারে হামলা করে আপনারা আমাদের হৃদপিণ্ডে হাত দিয়েছেন। আপনাদের সাবধান করে দিতে চাই, দিল্লির দালাল হয়ে বাংলাদেশের এত বড় ক্ষতি আপনারা করতে পারেন না। বাংলাদেশের সংস্কৃতি মাজার ভাঙা নয়, রক্ষা করা। মাজারের সংস্কৃতির যে দীর্ঘ ইতিহাস আছে সেই সংস্কৃতিকে রক্ষা করা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘ইসলামে কখনো আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি। আপনি মত দিতে পারেন, ফতোয়া দিতে পারেন, কিন্তু কারও ওপর মত–ফতোয়া বাস্তবায়ন করার অধিকার আপনার নেই। আপনারা যারা মাজার ভাঙছেন, আপনাদের সম্পর্কে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই, এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার।’
যারা দেশে মাজার ভাঙে তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এক মহিলা এই দেশকে তার বাপের সম্পত্তি মনে করেছিলো বলে তাকে আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি। কেউ যদি ভাবে ইসলাম তাদের বাপের সম্পত্তি তাহলে আমি হুশিয়ার করে দিচ্ছি এটা তাদের বাপের সম্পত্তি নয়।
মাজারগুলোতে মাদক ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড হয় এমন যুক্তি প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা অনৈতিক কাজ সমর্থন করি না। অনৈতিক কাজ কি শুধু মাজারে হয়! পুরো রাষ্ট্র, এ দেশের ধনিক শ্রেণি-এলিট শ্রেণি তাদের হোটেলে, তাদের বাসভবনে অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা তাদের সম্পর্কে কিছু বলেন না। কারণ আপনাদের কোন হেডাম নেই। আপনারা খবরদারি করছেন গরিবের ওপরে, অতি গরিবের ওপর, যাদের কাছে রাসুলুল্লাহ ছাড়া কেউ নেই। তারা শুধু রাসুলুল্লাহর জিকির ছাড়া আর কিছুই করছে না। যদি ইসলামের ইতিহাস না জানেন, তাহলে দয়া করে পড়ুন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট যে সব মাজার ভাঙা হয়েছে, হামলার স্বীকার হয়েছে তা যেনো সরকারি অর্থায়নে পুননির্মাণ করে দেওয়া হয় সে দাবিও জানান ফরহাদ মজহার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।