জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের পর সারা দেশের মতো রাজধানীতেও এখন মধ্যরাতে বিদ্যুৎ থাকছে না। দিনের অবস্থা তো আরও ভয়াবহ। সব মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১০ ঘণ্টাই বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটাচ্ছে দেশের মানুষ।
শনিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতেও রাজধানীর অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। মধ্যরাতে বিদ্যুতের এ আসা-যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই।
তারা জানান, দৈনিক চার-পাঁচবার বিদ্যুৎ চলে যায়, যা কখনো কখনো দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লোডশেডিং থাকে। এতে ঘুমের পাশাপাশি দৈন্দন্দিন কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আকরামুল কবির জানান, রাত ১১টার পর বিদ্যুৎ চলে যায়, আসে ১২টার দিকে। আবার দেড়টার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এভাবে দিনেও বেশ কয়েকবার লোডশেডিং হয়।
মিরপুরের বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা দিন তো থাকেই না বিদ্যুৎ, তারমধ্যে মধ্যরাতে ঘুমানোর সময়ও রুটিন করে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এতে ঘুমের পাশাপাশি দৈন্দন্দিন কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশুরা। বিশেষ করে নবজাতকরা তো ঠিকমতো ঘুমাতেই পারছে না। একটু পরপর বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ঘুমও ভেঙে যাচ্ছে তাদের। অভিভাবকরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঘুম না হওয়ায় প্রভাব পড়ছে দিনের বেলায়। সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, দিনে ও রাতে ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি হচ্ছে। এতে প্রতিটি ফিডারে (নির্দিষ্ট গ্রাহক এলাকা) অন্তত দুবার, কোথাও তিনবার লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তাই এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের সূচি মানা যাচ্ছে না।
সরকারের ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টারের হিসাবে গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সারা দেশে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।