জুমবাংলা ডেস্ক: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দেশীয় কলার। সুস্বাদু ও ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে এ অঞ্চলের কলার চাহিদা অনেক বেশি। ফলে দিন দিন বাড়ছেই কলার বাগানের সংখ্যা। সম্পৃক্ত হচ্ছে নতুন নতুন চাষিরা। অনাবাদি জমিতে একরের পর একর কলার বাগান করে বছর শেষে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারায় খুশি চাষিরা।
জানা যায়, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সাপ্তাহিক কলার হাট শনিবার। এ দিন উপজেলার সব অঞ্চল থেকে বিভিন্ন আকারের কলা বাজারে নিয়ে আসেন স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও চাষি। এ অঞ্চলের কলা ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় সকলের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয়। পরিবহণ ব্যবস্থা খুব সহজ হওয়ায় বড় কলার ছড়িগুলোকে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাজারজাত করা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাহাড়ি টিলা পথে কলা নিয়ে আসা হয় মাটিরাঙ্গার কলা বাজারে। সেখান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কলা কিনে পণ্যবাহী ট্রাকের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকাসহ সারাদেশে নিয়ে যায়।
পাহাড়ে কয়েক জাতের কলার চাষ হলেও দুই জাতের কলা বেশি দেখা যায়। একটি বাংলা কলা, অন্যটি চাপা কলা। যার স্থানীয় নাম চাম্পা কলা। উঁচু পাহাড়ের মাটিতে জন্মায় বলে এগুলোকে পাহাড়ি কলাও বলা হয়।
কুমিল্লা থেকে খাগড়াছড়ি কলা বাজারে আসা ব্যবসায়ী আবু জাফর জানান, সমতল এলাকার কলা আর পাহাড়ের কলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। খাগড়াছড়ি থেকে কলা নিয়ে বাজারে বসে থাকতে হয় না। এগুলো সবাই লুফে নেয়।
চট্টগ্রামের কলা ব্যবসায়ী রমিজ বলেন, সাপ্তাহিক বাজারে বাইরে থেকে অনেক ব্যবসায়ী আসেন। প্রতি বাজারে ব্যবসায়ী এবং কৃষকের মাঝে প্রায় ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এতে কৃষকরা বাজারে কলা এনে অপেক্ষা করতে হয় না। খুব সহজে ন্যায্যদামে কলা বিক্রি করা যায়।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন বলেন, চাম্পা ও বাংলা কলা পাহাড়ের মাটিতে বেশ ভালো হয়। পাহাড়ের মাটিতে এসব কলা আপনা আপনি বেড়ে ওঠলেও নতুন কলাগাছ লাগানোর সময় প্রয়োজনীয় সার-ওষুধ দিলে কলার ভাল ফলন আশা করা যায়। তাছাড়া কলার চারার আশপাশে জঙ্গল পরিষ্কারসহ মরা পাতা ও অতিরিক্ত চারা কেটে ফেলে দিলেই হয়। এটি লাভজনক ফসল এবং এটি চাষে কৃষকের লোকসান হয় না।
তিনি আরো বলেন, কলা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও বালাই ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয় কৃষকদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।