স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের আগে জোড়া গোলের ভয় দেখিয়ে আর্জেন্টাইন শিবিরে কাঁপন ধরাতে চেয়েছিলেন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নোল। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি, ক্রোয়েশিয়াকে উড়িয়ে দাপুটে জয়ে আট বছর পর আবারও বিশ্ব আসরের ফাইনালে পৌঁছে গেছেন মেসি, আলভারেসরা।
আর্জেন্টিনা মাঠের দাপটে ক্রোয়েশিয়াকে ধরাশায়ী করলেও গ্যালারির ছবি ছিল আলাদা। ম্যাচের আগে ইনস্টাগ্রামে আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা তুলাধুনা করলেও স্টেডিয়ামে নোলকে ঘিরে ছিল তাদের বিপুল উচ্ছ্বাস।
কাতার বিশ্বকাপের এই ‘সে’ক্সি ফ্যান’-এর কাছে ঘেঁষার চেষ্টায় মরিয়া ছিলেন অনেক আর্জেন্টাইন সমর্থক। দল হেরে যাওয়ায় লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকরা যখন চোখের পানি ফেলছেন, তখন ভক্তদের চাপে মাঠ ছাড়তে বেগ পেতে হয়েছে নোলকে।
সেলফি তোলার জন্য মোবাইল ফোন হাতে তাকে ঘিরে ধরেন অসংখ্য দর্শক। খেলার আগেও তার সঙ্গে সেলফি তোলেন মেসি-ভক্তরা।
খেলা শেষেও ভক্তদের বিপুল আগ্রহে বিস্মিত নোল। তার প্রমাণ মিলেছে ইন্সটাগ্রামে নিজের ভ্যারিফায়েড অ্যাকাউন্টে। স্টোরিতে সেই ভিড়ের ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাজ্জব বনে যাওয়া নোল ব্যবহার করেছেন বিস্ময় প্রকাশের ইমোজি। লিখেছেন, ওএমজি (ওহ মাই গড)।
কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্য ভক্তদের চাপ অসহনীয় হয়ে ওঠে। সেলফি শিকারিদের জটলা সামাল দিয়ে নোলকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাদের হস্তক্ষেপে মাঠ ছাড়েন এবারের বিশ্বকাপে তারকা খ্যাতি পাওয়া এই দর্শক।
স্পোর্ট ডটপিএল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নোলকে ঘিরে ছিলেন ভক্তরা। তাই তিনি মাঠ ছাড়তে পারছিলেন না।
বিড়ম্বনার শিকার নোল বলেন, ‘আমি স্টেডিয়াম ছাড়তে পারছিলাম না, কারণ বাইরে তখন উন্মাতাল অবস্থা। সবাই আমার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য মরিয়া ছিলেন।’
ক্রোয়েশিয়ার পরাজয়ে ব্যথিত নোল বলেন, ‘আজকের (মঙ্গলবার) দিনটি ছিল আর্জেন্টাইনদের।’
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন গোলের ভয় দেখিয়ে ফের আলোচনায় আসেন ইভানা নোল
আলবিসেলেস্তাদের কাছে হেরে যাওয়ার পরও ফাইনাল ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে যাওয়ার সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন তিনি।
জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ডকে তিনি বলেন, ‘ক্রোয়েশিয়া বাদ পড়ার পর আমি কাতার ছেড়ে চলে যাব ভেবেছিলাম। তবে এখন সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছি। ফাইনাল ম্যাচ পর্যন্ত আমি কাতারেই থাকব।’
কাতার বিশ্বকাপ নোলকে নতুন পরিচয় দিয়েছে। সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরুর দেশে এসেছিলেন নিজ দেশ ক্রোয়েশিয়াকে সমর্থন জানাতে। স্টেডিয়ামে স্বল্পবসনে তার উপস্থিতি আলোড়িত করেছে গোটা বিশ্বকে।
সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মডেলিং ও অভিনয়।
বিলডেমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নোল বলেন, ‘এটি আমার টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ। সত্যিই দারুণ অনুভূতি। সবাই আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চায়, এমনকি স্থানীয়রাও।’
কিছুদিন আগেও ইনস্টাগ্রামে নোলকে অনুসরণ করছিলেন ছয় লাখ ফলোয়ার। বিশ্বকাপের কদিনে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ লাখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।