জুমবাংলা ডেস্ক : র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোনো হুমকি নেই। তবে সব ধরনের হুমকির বিষয়ে চিন্তা করেই সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ধরনের হুমকি নেই। তবে আমরা সার্বক্ষণিক যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।
র্যাব ডিজি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে ঢাকাসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে র্যাবের সাদা পোশাকধারী সদস্যরা গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রয়োজনীয় সুইপিং করবে বলেও জানান তিনি।
যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে উল্লেখ করে র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, র্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হবে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে সতর্ক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভার্চুয়াল জগতে উসকানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো রোধে র্যাবের সাইবার ইউনিট অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখবে। র্যাব সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে সারা দেশের ব্যাটালিয়নগুলোতে মনিটরিং করা হবে।
সিসি ক্যামেরা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাতটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যা ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে কাজ করবে। নিরাপত্তার বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে র্যাবের।
এ সময় র্যাব ফোর্সেস মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাকশনে যেতে চাই- উল্লেখ করে খুরশীদ হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ হচ্ছে মাদকের একটি ট্রানজিট রোড। এর থেকে যদি বাঁচতে হয়, তবে আমাদের সম্মিলিতভাবে মাদকের বিরুদ্ধে, আইন অনুসারে সামাজিক পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ দেশ আমাদের, দেশের মানুষ আমাদের, বাংলাদেশ আমাদের অহংকার। এই ভেবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে বসবাস করব, এ দেশের শান্তি ও সুন্দর সামাজিক ব্যবস্থার জন্য মাদক ও কিশোর গ্যাংসহ জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে নির্মূল করতে হবে। নির্মূল আমি ওই অর্থে বলব না, কারণ বিশ্বের এমন কোনো দেশ নাই যারা মাদককে নির্মূল করতে পেরেছে। আমি মনে করি, যারা অনেক বড় কথা বলে সেই সমস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমাদের মূল কাজ হচ্ছে, জনমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, এলাকায় বসবাস করতে পারে, পাশাপাশি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যাতে সুন্দরভাবে পরিচালনা হতে পারে, সমাজের মানুষ যাতে কোনো প্রকার হুমকির মধ্যে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করা।
এ অনুষ্ঠানে মাদক ও কিশোর গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের লেখা ‘মাদকের সাতসতেরো: বাংলাদেশের বাস্তবতা ও সমাধানসূত্র’ এবং ‘কিশোর গ্যাং: কীভাবে এলো, কীভাবে রুখব’ শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।