নেপালের অপরুপ সুন্দর্য দেখতে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই যাওয়া যাবে। তবে সেজন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের। ইতমধ্যে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও কাজ বাকি রয়েছে অনেক খানি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে নেপালের ভদ্রপুর অথবা বিরাট নগরে শুরু হচ্ছে সরাসরি ফ্লাইট। এ লক্ষ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দরে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। পরিষর বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ইতমধ্যে শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ।
হিমালয় কন্যা নেপাল। প্রতিবেশি এই দেশটি বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু। প্রতি বছর প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের যাওয়া আসা দু-দেশে। নেপাল যাওয়া আসায় এখন পর্যন্ত প্রধান ভরসা ঢাকা কাঠমান্ডু ফ্লাইট। প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট চলছে এই রুটে। সময় লাগছে দেড় ঘণ্টা। আর ভাড়া গুনতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার টাকা।
আ.লীগের নতুন কমিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ২৪ জানুয়ারি ≣ বরিশালে দুই মাসে ট্রাফিক বিভাগে মামলার খাতা শুন্য ≣ করোনা ভাইরাস নিয়ে তথ্য গোপন করার কথা স্বীকার করে পদত্যাগের প্রস্তাব দিলেন চীনের উহান শহরের মেয়র
সৈয়দপুর থেকে নেপালের ভদ্রপুর অথবা বিরাট নগরে যেতে আকাশপথে সময় লাগে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট। আবার ঢাকা থেকে সৈয়দপুর হয়ে নেপাল গেলেও সময় কমে আসবে ৪৫ মিনিট। খরচ নেমে আসবে অর্ধেকে। এই রুটটি ব্যবহারে এখন পর্যন্ত নীতিগত ভাবে একমত হয়েছে ঢাকা ও কাঠমান্ডু।
ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্র বলেছেন, ইতমধ্যে দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সৈয়দপুর থেকে নেপালের পূর্বাঞ্চলে যেতে মাত্র ১৫-২০ মিনিট লাগবে। এটা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের মতই। তাই ভাড়াও কম হবে। তবে ইমিগ্রেশনসহ দুই দেশের বিমানবন্দরে অনেক কাজ করতে হবে।
সৈয়দপুরকে অভ্যন্তরীন থেকে আঞ্চলীক বিমানবন্দরে উন্নিত করতে কাজ করছে সরকার। বাড়ছে রানওয়ের আকার ও অবকাঠামো সুবিধাও বাড়ানো হচ্ছে। তবে এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে সময় লাগবে। বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এই বিমানবন্দর দিয়ে খুব অল্পসময়ে নেপাল যাওয়া যাবে। এতে খরচও কমবে। দেশের পর্যটনেও এর প্রভাব পরবে। অর্থনিতিও সচল হবে।
মাহবুবল আলী বলেন, ইতমধ্যে জমি অধিগ্রহণ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। আশেপাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাল ও মহাসড়ক রয়েছে। এই দুটির ভালো সুরাহা প্রয়োজন। এগুলো হওয়ার পর উন্নীতের কাজে হাত দেয়া হবে। এই বিমানবন্দর হবে এই অঞ্চলের হাব। সেই লক্ষেই কাজ চলছে।
দুই দেশের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সড়ক ও রেলপথেও সম্পর্ক তৈরি করা যায়। যদি দুই দেশ নিজেদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থায়ী রাখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।