জুমবাংলা ডেস্ক: নিজে সফলতার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও তিনি শ্রেষ্ঠ খামারী হিসেবে সরকারি ভাবে পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। বগুড়ারায় গরুর খামার করে স্বাবলম্বী আব্দুল মান্নান মন্ডল। প্রাথমিকভাবে মাত্র ৮টি গরু কিনে খামার শুরু করেছিলেন। তার ঘাম ঝরা পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি এই সফলতা পেয়েছেন।
খামারি আব্দুল মান্নান মন্ডল বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০১৭ সালে মাত্র ৮টি গরু কিনে খামার শুরু করেন। তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অন্য উচ্চতায়। আগে তিনি ১টি শেডে গরু রাখতেন। এখন তার খামারে ছোট-বড় মিলে ৭০টি গরু রয়েছে। খামারে ফ্রিজিয়ান জাত ও উন্নত মানের শাহিওয়াল জাতের গরু রয়েছে। বর্তমানে খামারের গরু বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩টি শেডে রাখতে হচ্ছে।
খামারি আব্দুল মান্নান বলেন, আমি ২০১৭ সালে খামার শুরু করেছিলাম। খামারটি গড়ে তুলতে আমার অনেক পশ্রিম করতে হয়েছে। প্রথম ৮টি গরু দিয়ে শুরু করেছিলাম। বর্তমানে আমার খামারে ফ্রিজিয়ান ও উন্নত মানের শাহিয়াল জাতের গরু ৭০টি গরু রয়েছে। তারা সব সময় গরুর পরিচর্যায় রয়েছেন। গরু দেখাশোনার জন্য ৩ জন লোক নিয়োগ দেওয়া আছে। গরুকে খাওয়ানোর জন্য ৮ বিঘা জমিতে ঘাসের চাষ করেছি। এছাড়াও গরু অসূস্থ্য হলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা এবং বেশি সমস্যা হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে থাকি। আর গরু বেশি হওয়ার কারণে হাত দিয়ে না কেটে মেশিনের মাধ্যমে কেটে খাওয়াই।
আব্দুল মান্নান আরও বলেন, খামারের গাভী গরুগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করতে পারি। স্থানীয়দের মাঝে এই দুধ বিক্রি করে ভালো আয় হয়। আর প্রতি বছর কোরবানির ঈদের হাটে ৩০-৪০ টি গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাই। এছাড়ার এলাকায় গরু পালন ছাড়িয়ে দিতে অন্যদেরও পরামর্শ দিয়ে থাকি। এইসব গরু সারাবছর ঘাস, ভূষি, খৈল খাইয়ে মোটাতাজা করি।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার নুসরাত জাহান লাকী বলেন, আব্দুল মান্নান মন্ডল একজন আদর্শ খামারি। তার সফলতা দেখে অনেকেই খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি শ্রেষ্ট খামারি হিসেবে সরকারি ভাবে পুরষ্কৃতও হয়েছেন।
পাহাড়ি টিলায় আনারস এর বাম্পার ফলন, প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকা বিক্রি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।