মাথায় আঘাত খুব বিপজ্জনক। শুধু যে ফুলে ওঠে, তা–ই নয়, স্মৃতি নষ্ট, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণসহ অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তাই সব সময় মাথা নিরাপদ রাখতে হবে। তবে ছোটখাটো ব্যথায় কিছুটা ফুলে উঠতে পারে। এটা শুধু মাথা নয়, শরীরের যেকোনো স্থানে আঘাত লাগলে ফুলে ওঠে।
এটা শরীরের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। আঘাত সামলানোর জন্য দেহের অভ্যন্তরীণ একটি ব্যবস্থা। ফুলে ওঠা মানে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সজাগ করে তোলা। এই ফোলার মাধ্যমে মস্তিষ্কে একটি সংকেত যায় যে আঘাতের ফলে ওই অংশের যেসব দেহকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ওগুলো মেরামত করার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
একই সঙ্গে দেহের প্রতিরোধ শক্তিকে সতর্ক করা হয়। যেমন কেউ আমার মাথায় লাঠির আঘাত করল, তাহলে আমাকে সেই শত্রুর বিরুদ্ধে অন্তত আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অথবা আমার মাথায় কোনো উঁচু দালান থেকে একটি ছোট ইটের টুকরা পড়ল। মাথার একটি অংশ ফুলে উঠল। ব্যথা শুরু হলো। সঙ্গে সঙ্গে আমি দূরে সরে গেলাম, যেন আবার কোনো ইটের টুকরা মাথায় না পড়ে। এটা হলো আঘাত এড়ানোর তাৎক্ষণিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। মনে রাখতে হবে, মাথায় আঘাত যত ছোটই হোক, ডাক্তার দেখাতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।