জুমবাংলা ডেস্ক : পারিবারিক একটি অনুষ্ঠান ছিল শনিবার রাতে। বাসায় ফিরতে ফিরতে সবার রাত হয়ে যায়। দোতলা বাড়ির নিচতলায় একাই ছিলেন রফিকুল ইসলাম গেদা। ততক্ষণে ওপরতলায় চলে গেছেন ছেলে, পুত্রবধূসহ অন্যরা। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাকাতরা রফিকুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চুপ হতে বলে। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন তাঁর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।
দুর্ধর্ষ ডাকাতির বর্ণনা এভাবেই দিচ্ছিলেন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর সারদাগঞ্জ এলাকায়। শনিবার মাঝরাতে ওই বাড়ি থেকে ডাকাতরা ৮ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১০ লাখ টাকা দামি পণ্য লুট করেছে।
রফিকুল বলেন, রাত ২টার দিকে একদল ডাকাত নিচতলার একটি কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তিনি সেখানেই ছিলেন। তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হাত-পা ও মুখ বাঁধে ডাকাতরা। পরে বাড়ির অন্যান্য কক্ষে ঢুকে পড়ে পরিবারের সবাইকে বেঁধে ফেলে।
ওই দুর্বৃত্তরা দেড় ঘণ্টা ধরে ঘরের আলমারি, ওয়ার্ডরোব, কেবিনেটসহ সব আসবাবপত্রের তালা ভেঙে লুটপাট চালায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তারা নগদ ১০ লাখ টাকা ৮ ভরি স্বর্ণ লুট করে চলে যায়। ১৫ মিনিট পর তারা কোনোমতে বাঁধন খুলে প্রতিবেশী ও স্বজনদের ডাকাতির বিষয়টি জানান। তারা এসে পুলিশে সংবাদ দেয়।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ১২ সদস্যের একটি ডাকাত দল এসেছিল। এদের মধ্যে ৯ জন ভেতরে ঢুকেছিল, ৩ জন বাইরে ছিল। দেড় ঘণ্টা ধরে ওই বাড়িতে লুটপাট করে তারা বেরিয়ে যায়। বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও মেমোরি কার্ড নেই। জনবহুল এলাকায় কীভাবে ডাকাত দল হানা দিয়েছে, তা জানতে তদন্ত চলছে। তবে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।