বিনোদন ডেস্ক : বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রবীর মিত্র। সেই ৬০’র দশক থেকে অভিনয় জগতে তার নিয়মিত পদচারণ। ৫০ বছরের বেশি সময়ে ৩০০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। জীবনের এই প্রান্তে এসে বেশ অসুস্থ তিনি। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। হাঁটুর ব্যথায় জন্য লাঠিতে ভর দিয়ে চলাচল করতে হয়। চার দেয়ালের মাঝে পত্রিকা পড়ে, বই পড়ে, টিভি দেখে সময় কাটে তার।
চার সন্তানের জনক প্রবীর মিত্র। প্রতিটি ছেলে মেয়েই মাস্টার্স পাস করেছেন। সবাই ভালোভাবে জীবনযাপন করছে। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও তাদের মানুষ হবার পেছনে শতভাগ কৃতিত্ব স্ত্রী অজন্তা মিত্রের। কারণ শুটিং এর ব্যস্ততার জন্য কোনোদিনই ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার প্রতি নজর দেবার সময় পাইনি।
প্রবীর মিত্র সেগুনবাগিচায় বড় ছেলের সঙ্গে থাকেন। এক সময় যে পৈত্রিক বাড়ি ছিল সে কথা ভুলতে পারেন না। পূর্বপুরুষ জমিদার হওয়ায় অনেক বড় বাড়িতে তার শৈশব কেটেছে। কিন্তু এখন এই ছোট্ট ভাড়া বাসায় নিজেকেও ছোট মনে হয় তার। এই শহরে নিজস্ব মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই তার। কষ্ট হলেও অপেক্ষায় আছেন প্রশান্তির।
তরুণ প্রজন্মের অভিনয়ের কথা উল্লেখ করে অভিনেতা বলেন, এখন অভিনেতাদের মধ্যে সিরিয়াসনেসের অভাব। আন্তরিকতার অভাব। যাই কিছু করি সেটা আন্তরিকভাবে করতে হবে, যেন মানুষের হৃদয়ে জায়গা পায় এমনভাবে কাজ করা উচিৎ।
জনপ্রিয়তার স্মৃতি চারণ করে অভিনেতা বলেন, এক সময় অটোগ্রাফ দিতাম। ব্যস্ততা থাকলে পরে আসতে বলতাম। তাতে ভক্তরা খুশি হতো। সেগুলো তারা সযত্নে রেখে দিতো।
এ অভিনেতা এখন বার্ধক্য নিয়ে সময় পার করছেন। বার্ধক্যের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, বার্ধক্য তো আপনা-আপনি আসে। এক সময় শরীর অকেজো হয়ে যায়। মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে যায়, মানুষের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয় না। এজন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।