জুমবাংলা ডেস্ক : ৭০ বছর বয়সী হাসিলতার মতো বৃদ্ধাকে হত্যার আগে ধর্ষণ জিঘাংসারই পরিচায়ক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদার স্বাক্ষরীত বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ছয় মার্চ পূজারীনী হাসিলতা বিশ্বাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালিবাতা সেবাশ্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, সরোজ কুমার বিশ্বাস, রবীন মন্ডল, শিপ্রা বিশ্বাস, ডেভিড বৈদ্য, বাদল মল্লিক প্রমুখ সংগঠনের গোপালগঞ্জ জেলার নেতারা।
পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রায় শ-তিনেক গ্রামবাসী ও পূজারীর সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অনতিবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, দুই পুত্র ও তিন সন্তানের জননী হাসিলতা বিশ্বাস ৭০ বছরের বৃদ্ধা ছিলেন। প্রায় এক দশক ধরে ‘মালিবাতা সেবাশ্রম’র পূজারী ছিলেন তিনি। রাতে মন্দিরের একটি কক্ষে তিনি একাই থাকতেন। গত ২ মার্চ রাতে সেবাশ্রমের মূলফটক ভেঙে দুষ্কৃতকারীরা ভেতরে প্রবেশ করে যে কক্ষে তিনি ছিলেন, সে কক্ষ থেকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে যায়। তারপর পূজারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন- হত্যার আগে হাসিলতা বিশ্বাসকে ধর্ষণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একদল দুর্বৃত্ত রাতে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা যুবকদের সঙ্গে নিয়ে নেশা করত। এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই বিবেচনায় মাদকাসক্তরাই এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। এ ঘটনাকে শুধু চুরি করতে এসে হত্যার ঘটনা হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। হত্যার মধ্যে যে পৈশাচিকতা, অমানবিকতা ও অস্বাভাবিকতা রয়েছে তা জিঘাংসারই বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের কারণে স্থানীয় পূজার্থী ও গ্রামবাসীরা আজও নিদারুণ শঙ্কায় দিনাতিপাত করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এদের মনে আশা ও আস্থা তৈরির জন্য এখনও পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারাও ঘটনাস্থল সফর করেননি।
গ্রামীণ ব্যাংকের এমডিদের নিয়োগ ও সিদ্ধান্তের বৈধতা যাচাই চলছে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।