আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুধবারও বিক্ষোভ সত্ত্বেও মাদুরো প্রশাসনের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিদ্রোহের লক্ষণ দেখা গেল না৷ এবার সাধারণ ধর্মঘটের দাবিতে সমর্থন জানিয়ে আরো চাপ সৃষ্টি করতে চান গুয়াইদো৷
মঙ্গলবার রাজপথে নেমে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিলেন ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো৷ সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি মাদুরোর প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করার ডাক দিলেও হাতে গোনা কয়েকজন সৈন্য ছাড়া কেউ সেই আহ্বানে সাড়া দেননি৷ বুধবার মে দিবস উপলক্ষ্যে আবার মাদুরো-বিরোধী বিক্ষোভ করতে চেয়েছিলেন গুয়াইদো৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন৷ এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেন, ‘ভেনেজুয়েলার লক্ষ লক্ষ মানুষ’ পথে নেমেছিলেন৷ কিন্তু বাস্তবে দুপুরের মধ্যেই বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী ঘরে ফিরে যান৷ এ দিন সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক জন বিক্ষোভকারী নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷
এমন প্রেক্ষাপটে প্রবল চাপ সত্ত্বেও নিকোলাস মাদুরো আপাতত ক্ষমতায় টিকে রয়েছেন৷ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির উপর এখনো তাঁর কর্তৃত্ব রয়েছে৷ সেনাবাহিনীর মধ্যেও কোনো বিদ্রোহের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ তা সত্ত্বেও হাল ছাড়তে প্রস্তুত নন গুয়াইদো৷ প্রায় ৩ মাস ধরে চেষ্টা চালিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যথেষ্ট সমর্থন আদায় করতে পারলেও মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেননি বিরোধী এই নেতা৷
এবার মাদুরোর সমর্থক বলে পরিচিত শ্রমজীবী মানুষের দাবি মেনে তিনি একাধিক ধর্মঘট ও শেষে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের প্রতি সমর্থন জানাতে পারেন৷ দেশের অর্থনীতি ও নাগরিক পরিষেবার বিপর্যস্ত অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই৷ শেষ পর্যন্ত তাদের সমর্থন পেলে গুয়াইদো আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷
মাদুরোকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে৷ ওয়াশিংটন গুয়াইদোকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও মস্কো মাদুরোকে মদত দিয়ে চলেছে৷ দুই দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভেনেজুয়েলায় প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷ তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনই কোনো প্রস্তুতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে৷
এদিকে মাদুরো প্রশাসনের অন্যতম মদতকারী দেশ কিউবা আবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলায় সে দেশের কোনো সৈন্য পাঠানো হয়নি৷ মার্কিন প্রশাসন কিউবার উদ্দেশ্যে সেনা প্রত্যাহারের ডাক দেবার পর সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, অ্যামেরিকাও জানে যে, ভেনেজুয়েলায় মোটেই কিউবার ২০,০০০ সৈন্য মোতায়ন করা হয়নি৷ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে কিউবা ‘ধারাবাহিক মিথ্যাবাদী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।