২০২৬ শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। মুদ্রণ থেকে বিতরণ—প্রতিটি ধাপেই কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে চলেছে নিয়মিত মনিটরিং।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এনসিটিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস. এম. আসাদুজ্জামান জানান, শেষ মুহূর্তেও সংস্থাটি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও বিতরণের প্রতিটি ধাপে কঠোর তদারকি ধরে রেখেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এনসিটিবি নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যাতে কোনো পর্যায়ে গাফিলতি বা ত্রুটি না ঘটে। তিনি জানান, এনসিটিবির নিজস্ব তদারকির পাশাপাশি একটি নিরপেক্ষ ইন্সপেকশন ফার্ম—পিডিআই—এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিশেষ মনিটরিং টিমও প্রতিদিন মাঠপর্যায়ে নজরদারিতে যুক্ত রয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা দেশের মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে মালিকরা পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে কিছু কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার বিষয় তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যার দ্রুত সমাধানের অনুরোধ জানান বলে জানান এনসিটিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা।
তাদের মতে, এসব সমস্যা দূর করা গেলে মুদ্রণ-বাঁধাই প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে এবং নির্ধারিত সময়েই বই সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব। পরে এসব সমস্যার সমাধানে গত ১৮ নভেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা দেশের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এক হাজারের বেশি কর্মকর্তার সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভা করেন। সেখানে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বই গ্রহণ, নিরাপত্তা ও বিতরণব্যবস্থা নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, আজও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এনসিটিবি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সভার আলোচনা সম্পর্কে তিনি জানান, মুদ্রণ মালিকদের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, বই পরিবহন-সংরক্ষণে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মাঠপর্যায়ে বই গ্রহণের ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে পাঠ্যপুস্তক সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত জায়গার প্রয়োজনীয়তাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে দেশের সকল শিক্ষার্থীর হাতে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলেও এনসিটিবির পক্ষ থেকে এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



