মো. জোবাইদুল ইসলাম : মানব জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা ইসলামে বিদ্যমান। মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য বিনোদন অপরিহার্য। ইসলাম সব ধরনের হালাল বিনোদনের অনুমোদন দেয়। হাস্যরস, কৌতুক, গল্প, কবিতা, সংগীত, খেলাধুলা ইসলামে জায়েজ।
রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জীবনীতে আমরা হালাল বিনোদন খুঁজে পাই। যেমন রাসূল (সা.) হজরত আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা দিতেন, সাহাবিদের সঙ্গে হাস্যরসপূর্ণ কথা বলতেন, সাহাবিদের কবিতা আবৃত্তি শুনতেন। আবার রাসূল (সা.) যুদ্ধ থেকে ফিরে এলে মদিনার ছোট ছেলেমেয়েরা দফ বাজিয়ে তাঁকে বরণ করত। এগুলো রাসূল (সা.) কখনো নিষেধ করেননি।
এ ছাড়া রাসূল (সা.) মদিনার শ্রেষ্ঠ বীরের সঙ্গে কুস্তি লড়ে তাকে তিন তিনবার হারিয়েছেন। হালাল বিনোদন সম্পর্কে হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, আমি নিজে আল্লাহর রাসূল (সা.)কে জিজ্ঞেস করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও?
আমি বললাম, হ্যাঁ, অতঃপর তিনি আমাকে তাঁর পেছনে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তাঁর গালের সঙ্গে লাগানো। তিনি তাদের বললেন, তোমরা যা করছিলে তা করতে থাক, হে বনু আরফিদা। পরিশেষে আমি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়লাম, তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমার দেখা কি যথেষ্ট হয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ, তিনি বললেন, তা হলে চলে যাও। (বুখারি শরিফ-৯৫০)।
লেখক : মো. জোবাইদুল ইসলাম, প্রাবন্ধিক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।