সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : গত ২৪ ঘন্টায় মানিকগঞ্জে নতুন করে আরও ১৭জনের দেহে করোনা শনাক্ত ও একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা হলো ৪০৪ জন।
শনিবার (১৩জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রফিকুন নাহার বন্যা।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে সাটুরিয়া উপজেলায় ৭ জন, সিংগাইর উপজেলায় ৫, ঘিওর উপজেলায় ৩ জন এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ জন রয়েছেন।
ডা: রফিকুন নাহার বন্যা জানায় ‘আজ সকালে ১৩৮টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৭টির পজিটিভ । এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ১০৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮৫৫টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যাতে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪০৪জনের দেহে। এদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১২ জন, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলায় রয়েছেন ৮১জন করে, ঘিওর উপজেলায় রয়েছেন ৫৫ জন, হরিরামপুর উপজেলায় ৩৩, শিবালয় উপজেলায় ২৭ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছেন ১১জন।
আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৮জন এবং নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ২৫৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১১৫ জন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে নিহত বিজয় সরকার (৪৫) ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার মহেন্দ্র সরকারের ছেলে ।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই ব্যক্তি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন। হঠাৎ শারীরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার (১৩ জুন) সকালে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান একজন। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী এলাকায়।চাকুরীসূত্রে তিনি মানিকগঞ্জে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি ৭জুন বিকেল থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে পর্যন্ত হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। হঠাৎ তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরে উচ্চ মাত্রায় অক্সিজেনের প্রয়োজনে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এছাড়া, আজ (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে জেলা হাসপাতালে আনার পর মায়া রাণী সূত্রধর (৫০) নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরী বিভাগের চিকিৎসক। তবে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।তাঁর বাড়ি জেলার সাটুরিয়া উপজেলার কৈট্টা এলাকায়, জানান ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ।
এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ৫ ব্যক্তি মারা গেলেন।তবে, সরকারী হিসেব অনুযায়ী ৪জন। কেননা ধামরাই থেকে আসা নিহত ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছিল নিজ এলাকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।