মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সম্পাদক হামজা খানসহ ৯ জনকে আসামী করে সদর থানায় চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে। চাঁদাবাজি মামলায় হামজা খানসহ (২২) তার ৪ সহযোগী মোঃ খায়রুল আলম মিলন ও সঞ্জু ঘোষ, কাজল বিশ^াস ও মোসাঃ সেলিনা আক্তারকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ওই পাঁচজনকে আটক করার পর শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতদের আদালতে পাঠানোর পর রোববার আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর সকালে আসামী মোঃ খায়রুল আলম মিলন বাদী মোঃ মনিরুজ্জামানকে ফোন করে গাড়ী ভাড়ার ব্যাপারে কথা বলার জন্য সন্ধ্যায় রমজান আলী সড়ক মসজিদের সামনে আসতে বলে। মোঃ মনিরুজ্জামান সন্ধ্যার পর রমজান আলী সড়ক মসজিদের সামনে আসলে একটি ভাড়াবাসার কক্ষে নিয়ে যায়। পরে হামজা খান, সঞ্জু ঘোষ ও কাজল বিশ^াস ও মোসাঃ সেলিনা আক্তারসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে ওই কক্ষে প্রবেশ করে মোসাঃ সেলিনা আক্তারের সাথে খারাপ কাজ করেছে বলে মোঃ মনিরুজ্জামানকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাইয়া ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
মোঃ মনিরুজ্জামান চাঁদা দিতে অসম্মতি জানাইলে গ্রেফতারকৃতরা তাকে চড় থাপ্পর কিল ঘুষি মারিয়া মোসাঃ সেলিনা আক্তারের সাথে যুগল ছবি মোবাইলে ধারণ করে। ওই যুগল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার হুমকি দেওয়ার কথা বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নগদ টাকা ও ক্রেডিট কার্ড কাড়িয়া নিয়া যায়। পরে ভয়ভীতি দেখাইয়া ক্রেডিট কার্ডের পিন কোড নিয়া টাকা উত্তোলন করে ক্রেডিট কার্ড ফেরত দেয় ও নন জুডিশিয়াল অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে আরও ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। এ ঘটনার বিষয়ে কারো কাছে কিছু বললে আসামীরা মোঃ মনিরুজ্জামান ও তার পরিবারের লোকজনকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে ওই ভাড়াবাসা থেকে বের করে দেয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৯ আগস্ট রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে মাদকসহ হাতেনাতে আটক হওয়ার পর তাকে মাদক মামলায় জেল-জরিমানা করে সরাসরি জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।