সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সব নদ-নদীতে পানি কমায় এখন বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমলেও বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। বসতভিটা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি কমে এখন বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কমেছে জেলার অভ্যন্তরীণ নদীগুলোর পানিও।
বন্যার পানি বাড়িঘর থেকে নেমে গেলেও চারিদিকে এখনো পানি রয়ে গেছে। তাই গ্রামাঞ্চলে চলাচলের একমাত্র বাহন হয়ে দাঁড়িছে নৌকা। বাড়ি থেকে হাটবাজার কিংবা অন্য বাড়িতে যেতে হলে নৌকা ছাড়া যাতায়াত করা যায় না। নৌকার ব্যাপক চাহিদা বাড়ায় এখন নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার কারিগররা। হাটগুলোতেও নৌকা বিক্রি হচ্ছে দেদারচে। আর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হাট-বাজারে বেড়েছে নৌকার দামও।
ক্রেতারা জানান, বাড়ির চারিদিকে পানি থাকায় কোথাও চলাচল করতে নৌকার বিকল্প নেই। পানি দীর্ঘদিন থাকার আশংকায় তারা নৌকা কিনছেন। তবে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে নৌকার চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রেতারা দাম বেশি নিচ্ছেন বলেও জানান ক্রেতারা।।
আর বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আরও বেশ কিছুদিন ধরে নৌকার চাহিদা থাকবে। মহাজনদের কাছ থেকে বেশি দামে নৌকা কিনে আনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তবে নৌকার কারিগররা জানান, নৌকার চাহিদা বেড়েছে আরও একমাস আগে থেকেই। এই চাহিদা থাকবে কমপক্ষে আরও দুইমাস। বিভিন্ন গাছের কাঠ দিয়ে তারা নৌকা তৈরি করছেন। ভিন্ন ভিন্ন কাঠের তৈরি নৌকার দামও ভিন্ন ভিন্ন। তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নৌকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, মানিকগঞ্জে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।