সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের ধলেশ^রী নদীতে গারাকুল এলাকার অবৈধ ডেজার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার পর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন গত ২৮ নভেম্বর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৬ টি ড্রেজার ধ্বংস করে দেন। এতে ড্রেজার ব্যবসায়ী মাসুদ ক্ষিপ্ত হয়ে দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
পরে ওই সাংবাদিক মানিকগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি নং- ১৪৭২, তাং- ৩০/১১/২০২০ইং। সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২৯ নভেম্বর) আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের দিয়ারা ভবানীপুর গ্রামের আফজাল বেপারীর মোড়ে ইসমাইলের চায়ের দোকানের সামনে ওই সাংবাদিককে একা পাইয়া ড্রেজার ব্যবসায়ী মাসুদসহ ২/৩ জন তাকে ঘেরাও করে প্রান নাশের হুমকি দেয়। অভিযুক্ত মাসুদ ওই সাংবাদিককে বলে, “তুই আমার ড্রেজারের বিরুদ্ধে নিউজ করছিস কেন? তোর নিউজের কারনে ভ্রাম্যমান আদালত আমার ২টি ড্রেজার ভেঙ্গে ফেলে। তোর এতো বড় সাহস, তুই আামার ড্রেজারের বিরুদ্ধে নিউজ করিস। তোকে আজ কে বাঁচায় দেখি?”
এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মাসুদ সহ তার বাহিনীর লোকজন চলিয়া যাওয়ার সময় হুমকি দেয় যে, আজকের মত প্রাণে বাঁচিয়া গেলি, তোর মত সাংবাদিককে মারলে কি হইবো, একজনরে মাইরা ১২ বছর জেল খেটেছি, দরকারে তোরে মাইরা আবার জেলে যামু। সুযোগ পাইলে তোকে মাইরা লাশ গুম কইরা ফালামু।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ধলেশ্বরী নদীতে অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে নিউজ করায় মাসুদ বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল (রবিবার) রাতে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন মিয়া, সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এ.বি.খান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও সিংগাইর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কহিনুর ইসলাম রাব্বি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর আলী খান বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যদি কোন হুমকির ঘটনা ঘটে থাকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।