সাজেদ ফাতেমী: ঢাকা শহরে আমি থাকি ভাড়া বাসায়। ফ্ল্যাট কেনা বা প্লট কিনে বাড়ি করার মতো দুঃসাহসিক স্বপ্ন কোনোদিন দেখার সাহস পাইনি। কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভুমিহীন, গৃহহীন ও হতদরিদ্র অনেক মানুষ হয়তো স্বপ্ন না দেখা সত্ত্বেও রেডিমেড বাড়ি পাচ্ছেন। ২১ এপ্রিল এক দিনের ঝটিকা সফরে নোয়াখালীর সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলামের সঙ্গে তিনটি থানার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সেটাই দেখে এলাম। মুগ্ধ হলাম।
জেলার সুধারাম থানার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের গৃহহীন নারী বিবি আয়েশাকে দুই শতক জমি দান করেছেন তারই শাশুড়ি। সেই জমিতে আয়েশার জন্য দুই রুমের একটি বাড়ি বানানো হয়েছে। কবিরহাট থানার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের কমলা খাতুনকে মানবিক কারণে দুই শতক জমি দিয়েছেন স্থানীয় এক বয়স্ক ব্যক্তি। সেই জমিতে কমলা খাতুনের জন্য দুই রুমের একই ডিজাইনের একটি বাড়ি বানানো হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার চর পার্বতী ইউনিয়নের নূরজাহানকেও দুই শতক জমি দিয়েছেন স্থানীয় এক বয়স্ক ব্যক্তি। সেখানেও একইভাবে একটি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে নূরজাহান ও তার অসহায় তিন সন্তানের জন্য। সিমেন্ট ও কর্কশিট কুচি দিয়ে বানানো ব্লকের তৈরি একচালা বাড়িগুলোর প্রতিটিই ভীষণ দৃষ্টিনন্দন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সব বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
তিনটি বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানেই আমাকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম। নতুন মালিকদের কাছে চাবি হস্তান্তর উপলক্ষ্যে ছোট্ট পরিসরে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানেরা। ফিতা কেটে উদ্বোধন করামাত্রই চারদিক থেকে মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে বারবার আমার চোখ ভিজে আসছিল। শুধু মনে হচ্ছিল, গ্রামের অসহায় মানুষদের জন্য নিজের একটি বাড়ি পাওয়ার চেয়ে বড় উপহার আর কী হতে পারে?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।