আই ব্লিঙ্কিং হলো আমাদের দেহের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার অংশ। এ প্রক্রিয়াটি আমাদের চোখকে পরিষ্কার, আদ্র এবং সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। জীববিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক সময়ে ব্লিঙ্কিং এর বিষয়টি অতীত থেকে বর্তমানে কীভাবে বিবর্তিত হয়ে এসেছে তা নিয়ে গবেষণা করছেন।
নানা প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব রয়েছে যাদের কোনো আই ব্লিঙ্কিং এর ঘটনা ঘটে না। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সাইন্সেস এ একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণায় উচ্চগতির ভিডিও এবং স্ক্যানিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায় যে, নন-ব্লিঙ্কিং মাছের চোখের পলক ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় পেশি থাকে। বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব ছিলো শুধু পানিতে। প্রায় ৩৭৫ মিলিয়ন বছর আগে কিছু মাছ জল থেকে শুকনো জমিতে যেতে শুরু করে।
জলভাগ থেকে স্থলভাগের দুনিয়া চ্যালেঞ্জিং এবং নতুন সুযোগে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু স্থলভাগে ভালোভাবে দেখার জন্য চোখের বিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। প্রথমদিকে শুষ্ক চোখে দেখতে সমস্যা হলেও পরবর্তী সময়ে তা বিবর্তিত হয়।
স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন পাখি এবং সরীসৃপের মতো চার অঙ্গবিশিষ্ট প্রাণীর চোখের পলক ফেলার বিবর্তন ঘটে। ফলে চোখ সুরক্ষিত থাকে এবং স্থলভাগে ভালোভাবে দেখা সম্ভব হয়। আধুনিক যুগে মাছ জলে বাস করলেও তাদের চোখের পলক ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে, অনেক আগে ভূমিতে যাওয়ার পূর্বে মাছের এ বিবর্তন ঘটেছিল।
মাডস্কিপার নামক এক মাছের উপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। এটি পানি ব্যতীত স্বল্প দূরত্বের জমির উপর হাঁটতে সক্ষম। জলে না থাকলেও মাডস্কিপার চোখের পলক ফেলতে পারে। কাজেই স্থলভাগের প্রাণীরা কীভাবে চোখের পলক ফেলতে পারে তার একটি ধারণা পাওয়া যায় এ ঘটনা থেকে।
মাডস্কিপার ফিশের মধ্যে ব্লিঙ্কিং করার ফাংশন মানুষের মতই ভালোভাবে কাজ করে থাকে। জলে থাকার সময় এ প্রজাতির মাছ ঘন ঘন চোখের পলক ফেলতো। তবে চতুষ্পদ প্রাণীর ব্লিঙ্কিং সিস্টেম এবং মাডস্কিপার মাছের ব্লিঙ্কিং সিস্টেম এর মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।