সাধারণত জন্মের সময় থেকেই তিল থাকে। তবে পরেও হয়। কিন্তু তিল কেন হয়? কারণ তার গঠনপ্রক্রিয়ার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ত্বকের কোনো ছোট অংশে যদি মেলানোসাইটস নামে পরিচিত ত্বকের কিছু জীবকোষ (সেল) একসঙ্গে দলা পাকিয়ে যায়, তখন তা ছোট গুটলি আকারে ত্বকের ওপর একটু উঁচু হয়ে থাকে। এটাই তিল।
মেলানোসাইটস ত্বকের রং নির্ধারণ করে। সেটা সাদা, বাদামি বা কালো হতে পারে। কিন্তু দলা পাকিয়ে গেলে সেই স্বাভাবিক রং থাকে না। মানুষের গায়ের তিল সাধারণত ঘন কালো রঙের হয়। কখনো বাদামি। তবে মুখে ছোট কালো তিল সৌন্দর্য বাড়ায়। এ জন্য ইংরেজিতে বলা হয় বিউটি স্পট। তিলের ভেতরের জীবকোষগুলো একসঙ্গে জমাট বেঁধে থাকে। ফলে ত্বকের অন্য সেলগুলোর মতো দেখায় না।
এর ওপর আলো পড়লে আলোর প্রতিফলনের পার্থক্যের জন্য অন্য রকম দেখায়। যদি সবটুকু আলো শুষে নেয়, তাহলে তিল কালো দেখায়। বেশির ভাগ তিল নিষ্ক্রিয়। তবে কোনো তিল থেকে ক্যানসার হতে পারে। সাধারণত যদি হঠাৎ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক তিল হতে থাকে এবং ওগুলো যদি মসৃণ না হয়ে এবড়োখেবড়ো হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।