আমরা জীবনে অনেকবার ভয় পেয়েছি তাতে কোন সন্দেহ নেই। যখন কোনো আকস্মিক কিছু ঘটে যায়, তখনই আমরা ভয় পাই। সন্তানরা বাবাকে ভয় পায়। অথবা স্কুলের কোনো শিক্ষককে। সাধারণত আমাদের অনেকে বাবাকে একটু ভয় পাই। আর মাকে ভয় পাই না। কারণ, বাবা হয়তো একটু গুরুগম্ভীর।
মাঝেমধ্যে বকাঝকা করেন। আর মা আমাদের সব সময় আগলে রাখেন। একটু ভুল হলে হেসে শুধরে দেন। তাই মাকে ভয় পাই না। তাহলে বলতে হয়, ভয় পাওয়ার পেছনে একটা যুক্তি আছে। রাগী শিক্ষককে দেখলেই শরীরের মধ্যে একটা তরঙ্গ বয়ে যায়। স্নায়ুতন্ত্র সতর্কসংকেত পাঠায় মস্তিষ্কে।
মস্তিষ্ক সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। যেন আমরা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি। তাহলে আর শিক্ষকের বকাঝকা খেতে হবে না। সুতরাং ভয় হলো আসলে আসন্ন কোনো বিপদ থেকে নিজেকে বাঁচানোর একটি প্রস্তুতিমূলক পর্ব।ছোটবেলায় আমরা ভূতের গল্প শুনে শিহরিত হই।
এমনকি বড় হয়েও আমরা ভূতের গল্প পড়তে ভালোবাসি। যদিও ভূতের কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু তা-ও এসব ভয়ের গল্পের প্রতি একটা আকর্ষণ থাকে। এর কারণও সেই একই। ভয়ের কারণে শরীর নিজেকে রক্ষার একটা প্রস্তুতি নেয়। স্নায়ুগুলো সতর্ক থাকে। এটা নিজেকে সাহসী ও যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।