বিনোদন ডেস্ক: সিনেমার সোনালি যুগ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তার প্রমাণ মেলে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বা মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর দিকে তাকালেই। নেটদুনিয়া থেকে শুরু করে চায়ের দোকান- সবখানেই এখন বাংলা সিনেমা নিয়ে আলোচন হচ্ছে। সোনালি যুগে রিকশার গায়ে আঁকা থাকতো সিনেমার পোস্টার। যা এখন কালের গর্ভে। কিন্তু সম্প্রতি ‘হাওয়া’ সিনেমার আঁকা পোস্টার দেখা মিলল রিকশার গায়ে। আর এই সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি তো মানুষের মুখে মুখে।
‘হাওয়া’ দেখার অপেক্ষায় এখন দেশের দর্শক। এই সিনেমার আরও একটি রহস্যজনক চরিত্র লাক্স তারকা নাজিফা তুষি। যাকে নিয়ে দর্শকমহলে ইতোমধ্যেই জন্মেছে নানা কৌতুহল। সিনেমায় নাজিফা তুষি অভিনয় করেছেন বেদেনী’র চরিত্রে। যে চরিত্রটির নাম ‘গুলতি’।
কেমন ছিল এই যাত্রাটা? উত্তরে নাজিফা তুষি বলেন, ‘এটি একটা ভিন্নধর্মী কাজ। আমি বলল এই কাজটার সঙ্গে আমার জীবনের ব্যাপক ফারাক আছে। এই সিনেমায় গুলতি চরিত্রটি আমার। এটি একেবারেই অন্যরকম। যা নিয়ে দর্শকমহলে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। সবার কৌতুল এখন এই চরত্রিটি নিয়ে। কিন্তু এর গোমড় আমি এখনই ফাঁস করতে চাই না। তাহলে গল্পের তেজটা কমে আসবে। আমি চাই, দর্শক হলে এসে ছবিটি দেখুক। আর তো মাত্র কয়েকটা দিন।’
আপনি বেদেনী চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে কী ধরনের অনুশীলন করেছেন?
আমি ছয় মাস আগ থেকে চরিত্রটি নিজের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে কাজ করেছি। এই সিনেমার কাজে থাকাকালীন কিন্তু আমি তুষির জীবন-যাপন করিনি। দেখবেন যে, একটা বেদেনী আর একটা নরমাল মেয়ের হাটাচলার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ওর চাহনি, হাটার ভঙ্গি, কথা-বার্তা সব কিছুই আলাদা। বেদেনীরা যেসব স্থানে থাকে তাদের ওখানে গিয়েছি, তাদের বোঝার চেষ্টা করেছি। চরিত্রের জন্য অনেক কিছুই আয়ত্ব করতে হয়েছে।
‘হাওয়া’ নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
একজন অভিনয়শিল্পী তার প্রতিটি কাজ নিয়েই আশাবাদী থাকেন। আমিও এই কাজটি নিয়ে বেশ আশাবাদী। আমি মনে করি, এটি আমার ক্যারিয়ারে ভিন্ন একটি মাত্র যোগ করবে। এর আগে, অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু এই সিনেমার গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে নিজেই উপলব্ধি করেছি- এটি ভিন্ন কিছু হতে যাচ্ছে। আর সমুদ্রের মাঝে শুটিং করতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। অনেক রিস্ক নিয়ে আমরা কাজটি করেছি। আর পরিচালকসহ (মেজবাউর রহমান সুমন) পুরো টিম যতেষ্ট সহযোগিতা ও কষ্ট করেছেন বলেই আজ সুন্দর একটি সিনেমা দর্শক পেতে যাচ্ছে।
কাজ করতে গিয়ে মজার কোন ঘটনা আছে?
অনেক মজার গল্প আছে, এখন কোনটা রেখে কোনটা বলি। এতে অভিনয় করতে গিয়ে শাড়ি পরে বেদেনী বেশে রাস্তা দিয়ে যখন হাটতাম, মানুষ আমাকে মনে করত বেদেনী। অনেকে ডাকও দিতো। তখন মনে হয়েছে চরিত্রের কাছাকাছি আমি যেতে পেরেছি। আর একটা বিষয় হচ্ছে এখানে আমি কাজ করার অনেক সুযোগ পেয়েছি, যা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
‘হাওয়া’ নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাধারণ মানুষের উল্লাস-আনন্দ কেমন দেখছেন?
এক কথায় অসাধারণ। যা আশা করেছিলাম তার চেয়েও অনেকগুণ বেশি। আর ছবি মুক্তির পর কি হয়, তা কল্পনাও করতে পারছি না।
এবার ব্যক্তিজীবন প্রসঙ্গ, সংসারের বড় মেয়ে আপনি। আমরা জানি বড়দের কাঁধে দায়িত্বও অনেক। অভিনয়ের পাশাপাশি সেই দায়িত্বগুলো কী পালন করতে পারেন?
এটা সত্য, আমরা চার বোনের মধ্যে আমি বড়। কিন্তু পরিবারের ছোট মেয়েটিও আমি। আমার ছোটবোনেরা আমাকে খুব ভালোবাসে ও সাহায্য করে। আর আমার বোনরা আমাকে গুছিয়ে ও আগলে রাখে। এটা আমার সৌভাগ্য। এটা আমি বেশ উপভোগ করি।
খাওয়া-দাওয়ায় আপনি নাকি বেশ পটু?
হ্যাঁ, আমি সারা দিনই খাই, অনেক ফুডি। আর সব খাবারই আমার পছন্দ। তবে আমি ঝাল বেশি পছন্দ করি।
অনেকেই বলে, ঝাল খাওয়া মানুষগুলো নাকি একটু রাগি হয়। আপনি কেমন?
আমি একথা বিশ্বাস করি না। তবে আমি একটু জেদি এটা মানছি। মনের মতো কিছু না হলে খুব জেদ কাজ করে।
জেদ নিয়ন্ত্রণ করেন কীভাবে?
জেদ নিয়ন্ত্রণ করি নিজেকে শাস্তি দিয়ে। নিজের সঙ্গে নিজে অনেক বোঝাপড়া করি। একটা সময় শান্ত হয়ে যাই।
সবশেষে জানতে চাই, নতুন কাজের খবর…
আপাতত কাজ একটাই ‘হাওয়া’। এ ছাড়া আর কোন কাজ নেই। আর ‘হাওয়া’ ছাড়া কিছুই ভাবছি না।
পরকীয়ার অভিযোগে অভিনেত্রীকে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে মারল নায়কের স্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।