এর আগে বিজ্ঞানীরা চাঁদ, শুক্র, মঙ্গল, ও টাইটানে মহাকাশযান পাঠিয়েছে। কারণ হচ্ছে এসব ভূমিতে অবতরণ করতে পারলে এবং কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেলেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভব। সৌরজগতে এমন কিছু জায়গা আছে যার সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল আছে তবে তাকে কাছ থেকে দেখা বেশ কঠিন ব্যাপার। তার মধ্যে একটি হলো জুপিটার।
জুপিটার এর বেশিরভাগ হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি। আপনি এটিকে পুরোপুরি মেঘের রাজ্য বলতে পারেন। এখানে অবতরণের চেষ্টা করা মানে মেঘের রাজ্যে অবতরণের চেষ্টা করার মত।
এখানে উল্লেখ করার মতো ভূত্বক নেই। মহাকাশযান যতই শক্তিশালী হোক না কেন জুপিটারে বেশিদিন টিকতে পারবে না। জুপিটারের বায়ুমন্ডলে কোন অক্সিজেন নেই। জুপিটারের বায়ুমন্ডলে শ্বাস নেওয়ার জন্য বিকল্প উপায় হাতে রাখতে হবে।
আপনি জুপিটারের উপরের অংশে প্রবেশ করার সাথে সাথে মধ্যাকর্ষণের টানে এক লক্ষ দশ হাজার মাইল প্রতি ঘন্টা বেগে যেতে পারবেন। জুপিটারের ঘন বায়ুমণ্ডল পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া খুব কষ্টকর। জুপিটারে আপনি ঘূর্ণনের ধাক্কা অনুভব করবেন।
জুপিটার হচ্ছে সৌরজগতের সবচেয়ে ঘূর্ণায়মান গ্রহ। সেখানে তীব্র বাতাসের ব্যাগ আপনার জন্য সমস্যা তৈরি করবে। যতই ভেতরে প্রবেশ করবেন ততই আপনার উপর চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আপনি কিছুই দেখতে পারবেন না এবং চারপাশের পরিস্থিতি বোঝার জন্য আপনাকে যন্ত্রের উপর নির্ভর করতে হবে।
সেখানে বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে অত্যন্ত শক্তিশালী মহাকাশযানের মধ্যে থাকতে হবে। এমন একটি মহাকাশযান যা প্রতিকূল আবহাওয়া এবং তীব্র চাপ সহ্য করার সক্ষমতা রাখে।
জুপিটারের আরো গভীরে প্রবেশ করলে আপনার সাথে বহির্বিশ্বের সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। কেননা সেখানে রেডিও সিগন্যাল কাজ করবে না। এসব কারণেই জুপিটারে অবতরণ করার চেষ্টা করা খুবই কঠিন। তবে সেখানে মেঘের আড়ালে অনেক রহস্য রয়েছে যা গবেষকরা উদঘাটন করতে চায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।