হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্ক নগরীর নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক ছিল উষ্ণতা, আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যে ভরা। অতীতের রাজনৈতিক বৈরিতা পাশে সরিয়ে রেখে দুই নেতাকে একে অপরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে দেখা গেছে।

বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প ছিলেন অস্বাভাবিকভাবে শান্ত ও ধীরস্থির। ক্যামেরার সামনে বারবার মামদানির হাত চাপড়ে দেওয়া, তাঁর বাহুতে মজার ছলে হালকা ঘুষি মারা—সব মিলিয়ে অভিব্যক্তিতে ছিল একরকম স্নেহ ও গ্রহণযোগ্যতার বার্তা। অনেকের চোখে এটি ছিল এক অভিভাবকের মতো আচরণ।
ডেমোক্র্যাট দলের বামঘেঁষা তরুণ রাজনীতিক জোহরান মামদানি অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে তাঁর উত্থানকে দেশজুড়ে আগ্রহভরে দেখা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এমন সদাচরণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নজর কেড়েছে।
ওভাল অফিসে ট্রাম্প বসেছিলেন তাঁর চিরচেনা ভঙ্গিতে, সামনে চওড়া লাল টাই—রিপাবলিকান দলের রঙের প্রতীক। মামদানি দাঁড়িয়েছিলেন পাশে, পরনে সরু নীল টাই, যা ডেমোক্র্যাট পরিচয় ফুটিয়ে তোলে। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ সত্ত্বেও তাঁদের শরীরী ভাষায় ছিল পারস্পরিক সম্মান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (মামদানি) যত ভালো কাজ করবেন, আমি ততই খুশি হব।’
তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, বৈঠকটি ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ’ হবে বলে আগেই তার ধারণা ছিল—এবং বাস্তবে সেটিই হয়েছে।
মামদানি কথা বলার সময় গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকে শুনতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। নিউইয়র্কের দুই ভিন্ন প্রজন্মের প্রতিনিধির এই মিলন রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ইতিবাচক বার্তা বহন করে—এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



