জুমবাংলা ডেস্ক : বিগত ১৭ বছরে সংঘটিত সব ফৌজদারি অপরাধ ও জুলাই বিপ্লব দমনে সংঘটিত গণহত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের এবং গণহারে নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া উইংয়ের সমন্বয়ক তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বিগত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন হয়েছে। ফ্যাসিবাদের এই দীর্ঘ শাসনামলে তাদের সমর্থকদের দ্বারা অগণিত ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সর্বশেষ জুলাই বিপ্লবের সময়ে ফ্যাসিবাদী সরকার ইতিহাসের নিকৃষ্টতর গণহত্যা চালায়। কিন্তু ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগ এসব অপরাধের বিচার করেনি। বরং যারা অপরাধের ভুক্তভোগী তাদেরই হেনস্তা করা হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধ তামাদি হয় না। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে প্রতিটি অপরাধ এবং গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার হবে। এসব বিচারের জন্য সারা দেশে ফ্যাসিবাদ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ ও গণহত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, আমরা গভীর বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী মামলা দায়েরকারীরা প্রকৃত আসামিদের বাইরে যাচাই বাছাইহীনভাবে সাধারণ মানুষের নাম আসামির কলামে তালিকাভুক্ত করে মামলা দায়ের করছে। এভাবে যাচাইবাছাই না করে গণহারে মামলা দায়ের করলে প্রকৃত অপরাধী পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কিছু স্থানে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষের নামেও মামলা দেওয়া হচ্ছে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ যা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিরই পুনরাবৃত্তি মাত্র।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বরা হয়, আমরা মনে করি, ভুলক্রমে শত অপরাধী পার পেয়ে গেলেও কোনো নিরাপরাধ ব্যাক্তিকে শাস্তি তো দূরে থাক বিন্দুমাত্র হয়রানি করাও সমীচীন নয়। যদি এমনটা হয় তাহলে আইন ও আদালতের সাথে উপহাস করা হবে এবং এটাই হবে সবচেয়ে বড় জুলুম। দেশবাসীর কাছে আহ্বান রাখবো যাচাইবাছাই না করে মিথ্যা বা ভুয়া মামলা দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করবেন না। প্রকৃত অপরাধীকে পার পাইয়ে দেয় এমন সকল ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।