নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৩ জুন মৃত্যু হয় পঁচাত্তর বয়সী রৌবেন পালমার। তবে মৃত্যুর পর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। অন্য স্বাভাবিক সময়ের মতোই দেওয়া হয় কবর। তবে এলাকাবাসীর অনুরোধ ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের টেলিফোনে স্বাস্থ্য কর্মীরা মৃত ব্যাক্তির করোনাভাইরাস নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
রৌবেন পালমা উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড তুমলিয়া গ্রামের মৃত নরেশ পালমার ছেলে।
গত ৩ জুন নমুনা সংগ্রহে পর মঙ্গলবার (৯ জুন) জানা গেল জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যু হওয়া রৌবেন পালমা করোনা পজেটিভ। বিকেলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আকন্দ ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুমলিয়া গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, বেশ কিছু দিন করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৩ জুন রৌবেন পালমা মৃত্যু বরণ করেন। তবে স্থানীয়ভাবে তার করোনার কথা বলা হলেও নিহতের পরিবার ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি আমলে নেয়নি। এমনকি জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট মৃত্যু হওয়া রৌবেনকে কবর দেওয়ার সময়ও মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। করোনা উপসর্গ বা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা কোন ব্যাক্তির দাফন, সৎকার, দাহ, কবর বা শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু রৌবেনের ক্ষেত্রে তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার লোকজন শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। সেক্ষেত্রে তার দ্বারা আরো কোন লোক আক্রান্ত হলো কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়। কারণ তাকে কবর দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানা হয়নি।
সূত্র আরো জানান, রৌবেন পালমার মৃত্যুর পর এলাকাবাসীর অনুরোধ ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের টেলিফোনে স্বাস্থ্য কর্মীরা মৃত ব্যাক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ছিল কিনা সেজন্য নমুনা সংগ্রহ করে নেয়। কিন্তু অবশেষে তার মৃত্যুর ৭ দিন পর জানা গেল তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন।
উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ইউএইচও ডা. মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আকন্দ জানান, উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা রৌবেন পালমার করোনা পজেটিভ ছিল কিনা সেজন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আইইডিসিআর এর প্রতিবেদনে জানা গেছে তিনি করোনা পজেটিভ ছিল। এখন আমরা নিহতের পরিবারের অন্য সদস্যদের যদি লক্ষন থাকে তাহলে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। তবে কবর দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে নিহতের পরিবার বিষয়টি গোপন করেছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ উপজেলায় সর্বমোট ১৪০৩ জন নারী-পুরুষের নমুনা সংগ্রহের পর ১৬২ জন নারী-পুরুষের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়। তবে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম আইসোলেসন থেকে ইতিমধ্যে ১১০ জন করোনাকে জয় করে ঘরে ফিরেছেন। এ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্য হয়েছে। যার মধ্যে একজন ১ মাস বয়সী শিশুও রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।