আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিমান বাহিনীর জন্য মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে জার্মানি৷ রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বার্লিন৷ খবর ডয়চে ভেলে’র।
বিভিন্ন সংবাদসংস্থায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে৷
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জার্মানি নিজেদের পুরাতন হয়ে যাওয়া টর্নেডো বিমান বহরকে আধুনিকায়ন করতে চায়৷ এই লক্ষ্যেই লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
ইউক্রেন সংঘাতের ফলে নিজেদের বৈদেশিক ও প্রতিরক্ষা নীতির পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য হয়েছে বার্লিন৷ চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জার্মানির প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় ব্যাপক মাত্রায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
জার্মানির যুদ্ধবিমান প্রয়োজন কেন?
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে, ন্যাটোকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জার্মানির প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়ে জিডিপির দুই শতাংশে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন শলৎস৷ তিনি বলেন, জার্মান সেনাবাহিনী বিনিয়োগ এবং অস্ত্র খাতে ১০০ বিলিয়ন ইউরো পাবে৷
এফ-৩৫ কে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান মনে করা হয়৷ এর অভিনব আকার এবং বাইরের আবরণের কারণে শত্রু রাডারে একে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়৷
বর্তমানে টর্নেডোই একমাত্র জার্মান বিমান যা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মার্কিন পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম৷ কিন্তু এই টর্নেডো ফ্লিটের বয়স ৪০ বছরেরও বেশি৷ জার্মান বিমান বাহিনী এই বিমানগুলো সেই ১৯৮০ সাল থেকে পরিচালনা করে আসছে৷ বিমানগুলোর মেয়াদ ২০২৫ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে৷
৩৫টি এমন বিমান কেনার পরিকল্পনার তথ্যও জানানো হয়েছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে৷
তবে এর ফলে ফ্রান্সের সঙ্গে ইউরোপীয় যুদ্ধবিমান তৈরির যৌথ পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
এফ-৩৫ কেনার সিদ্ধান্ত বোয়িং এর জন্য একটি বড় ধাক্কা৷ টর্নেডো বহরের বিকল্প হিসাবে বোয়িংয়ের এফ-১৮ ছিল সাবেক জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাওয়ারের পছন্দ৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।