বর্তমান বিশ্বের ৯০ শতাংশ ব্যবসা-বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের ব্যবহার সবথেকে বেশি করা হয়। এমনকি নিজ দেশের মুদ্রা বাদ দিয়ে ডলারকে কেন্দ্র করে বিল পরিশোধ করা হয়। আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের আধিপত্য রয়েছে।
মার্কিন ডলার যেনো বিশ্বব্যাপী আধিপত্য করতে পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র কিছু কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, সৌদি আরব শুধু ডলারের মাধ্যমেই তেল রপ্তানি করবে। এর ফলে অন্যান্য রাষ্ট্র ডলার পরিশোধ করেই সৌদি আরবের কাছ থেকে তেল কিনতে বাধ্য হয়েছে।
তেল বাণিজ্য এবং মার্কিন ডলারকে কেন্দ্র করে সাদ্দাম হোসেন এবং গাদ্দাফির সঙ্গে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টির কারণে যুক্তরাষ্ট আগ্রাসী ভূমিকার মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করে। বর্তমানে রাশিয়ার ৬০০ বিলিয়ন ডলার আটকে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশ ডলার বাণিজ্য থেকে পুরোপুরি বের হয়ে যেতে চাইছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন ব্রিকস চাইছে যে, একটি একক মুদ্রা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে ডলারকে যেন চ্যালেঞ্জ জানানো যায়।
চীন ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসের মধ্যেই কেনা মোট ক্রুড ওয়েলের ১৮ পার্সেন্ট নিয়েছে সৌদি আরব থেকে। এর জন্য চীনের খরচ হয়েছে ৫৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই পরিমাণ লেনদেন যদি চীনের নিজস্ব মুদ্রা বা পরবর্তী সময়ে ব্রিকসের একক মুদ্রার মাধ্যমে করা যায় তাহলে ডলার বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল একক মুদ্রা প্রচলনের ঘোষণা দিয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে লেনদেন করতে চায় রাশিয়া আর ইরান। জ্বালানি তেল বাদ দিয়ে অন্য পন্যের বাণিজ্য যেন রুপিতে করা যায় তার রাস্তা খুজঁছে ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
পাশাপাশি ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে অসম্মতি জানায়নি রাশিয়া এবং শ্রীলংকা। ভবিষ্যতে মার্কিন ডলারের আধিপত্য বর্তমান সময়ের মতো থাকবে নাকি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে তা সময় বলে দিবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।