আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুনিপ বা ইয়েতির থাকা না থাকা নিয়ে বিতর্ক অনন্ত। এর মধ্যেই এবার ‘বিগফুট’ বলে দাবি করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল একটি ভিডিও! মার্কিনি এই পৌরাণিক প্রাণীটির কণ্ঠস্বরও রেকর্ড হয়েছে বলে সেখানে দাবি করা হয়েছে। ভিডিও পোস্ট হতেই দুনিয়া জুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
উল্লেখ্য, বিগফুট-র অস্তিত্বের কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। অনেকের বিশ্বাস, রকি পর্বতমালার প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ায় বড় পা-ওয়ালা ভীম দর্শন এই পৌরানিক প্রাণী। মার্কিনি ইউটিউব চ্যানেল ‘ভার্জিনিয়া লিক ফর্ক বিগফুট এনকাউন্টার’-র দাবি, প্রাণীটির ভিডিও ও কণ্ঠস্বর রেকর্ড করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, যে ক্লিপটি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তা অন্তত তিন বছর আগের পুরনো। ২৪ অক্টোবর তা পোস্ট করতেই লাইক-শেয়ার-কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ‘স্যাসক্যাচের ফুটজ, ও ডাকছে’। এই স্যাসক্যাচ হল বিগফুটেরই অন্য একটি নাম। যা মার্কিনি উপজাতিদের মধ্যে বহুল প্রচলিত।
বিগফুট বলে দাবি করা ওই ভিডিও ঘিরে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নেট নাগরিকদের একাংশের দাবি, প্রাণীটি নিঃসন্দেহে বিগফুট। অনেকে আবার একে অন্য একটি পৌরাণিক প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘আমি ওই এলাকায় থাকি। গাছের পিছনে ছায়ার মতো যে প্রাণীকে দেখা যাচ্ছে, সেটা যে বিগফুট তা নিয়ে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। বাড়ির কাছের জঙ্গলে মাঝে মধ্যে শিকারে গিয়েছি। কিন্তু ভাগ্যিস কোনও দিন গভীর জঙ্গলে যাইনি। বিগফুট ঘন জঙ্গল পছন্দ করে এটা বোঝা গিয়েছে।’
সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একজন আবার এর কণ্ঠস্বর নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ‘আর কী প্রমাণের দরকার? গলায় যে পিচটা শোনা যাচ্ছে তার সঙ্গে কোনও প্রাণীর মিল নেই। এই ভিডিও পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।’ কমেন্ট বক্স লিখেছেন তিনি। তবে অনেকে আবার একে ডগম্যানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মানুষ ও কুকুরের সংমিশ্রণে তৈরি এর উল্লেখও রয়েছে মার্কিনি পুরাণে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।