আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন যে, জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর নেতা আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর এক অভিযানে নিহত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা ও সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ, আমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শিকে সরিয়ে দিয়েছি’।
অভিযানে অংশ নেওয়া সকল আমেরিকান নিরাপদে ফিরে এসেছেন বলেও জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত শহর আতমেহতে চালানো এই অভিযানে ৬ শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার মধ্যরাতে উত্তর ইদলিব প্রদেশে এবং তুরস্কের সীমান্তের কাছে অবস্থিত ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি মার্কিন হেলিকপ্টার অবতরণ করে।
স্থানীয় সূত্র বিবিসিকে জানায়, মার্কিন সৈন্যরা মাটিতে নামার পর কঠোর প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। এসময় তারা যানবাহনে বসানো ভারী বিমান বিধ্বংসী বন্দুকের গুলির মুখে পড়ে।
হেলিকপ্টারগুলো ফিরে আসার আগে দুই ঘণ্টা ধরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। মার্কিন কমান্ডোদের হামলায় টিকতে না পেরে কুরায়শি একটি শক্তিশালি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার পরিবারের নারী-শিশুরাও এতে মারা যায়।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আতমেহ থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে একটি গোপন আস্তানায় বিশেষ অভিযানে কুরাইশির পূর্বসূরি আবু বকর আল-বাগদাদিকে হত্যা করা হয়। বাগদাদিও তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতি হয়েছিল। ওই অভিযানের পর থেকে গতকালের এই অভিযান উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর সবচেয়ে বড় অভিযান। বাগদাদি নিহত হওয়ার পর আইএস এর প্রধান খলিফা বা নেতার আসনে বসেন কুরাইশি।
২০১৫ সালে গৃহযুদ্ধ কবলিত মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখল করে পৃথক ইসলামি রাষ্ট্র বা খিলাফত ঘোষণা করে আইএস। এই রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয় সিরিয়ার রাক্কা শহরকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।