আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন সফর থেকে ফিরে দিল্লিতে নির্মীয়মান নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ সরেজমিনে দেখতে চলে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এই আচমকা সফরের বিষয়ে কোনও আগাম খবর ছিল না কারও কাছেই। সেই কারণে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। নিরাপত্তা ছাড়াই ওই জায়গা পরিদর্শন করেন মোদি।
জানা গেছে, রবিবার রাত ৮ টা ৪৫ নাগাদ ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট’-এর কাজ দেখতে যান নরেন্দ্র মোদি। এক ঘণ্টা থেকে গোটা জায়গাটি ঘুরেও দেখেন তিনি। কেমন চলছে সমস্ত কিছু? কতটা এগিয়েছে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ? সেগুলিই সব ঘুরে দেখেন মোদি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার সাহায্যে এই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট তৈরি করছে৷ যার মধ্যে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণে৷ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত এই তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হবে সংসদীয় কার্যালয়৷ আর এর বরাত পেয়েছে টাটা গোষ্ঠী।
এর আগে গত বছর ১০ ডিসেম্বরে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তার পর সুপ্রিম কোর্টের অনুমতিতে শুরু হয় কাজ৷
গত মাসে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানিয়েছিলেন যে, নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণ আগামী বছর ১৫ অগস্টের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা৷ অর্থাৎ আগামী বছর থেকে নতুন সংসদ ভবনে বসবেন সাংসদরা৷
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে তৈরি হওয়া এই ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে বিরোধীরা লাগাতার কেন্দ্রের সরকারকে আক্রমণ করেছে। এমনকী আদালতে মামলাও দায়ের হয়েছে। যদিও তা ধোপে টেকেনি। পরবর্তীতে এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নতুন অফিসের উদ্বোধন করার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই দেখেছি কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে অন্তর্ঘাত করতে চাইছেন কিছু ব্যক্তি। কীভাবে তারা ব্যক্তিগত এজেন্ডার জন্য ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছেন। কিন্তু তারা কখনও এখানকার দৈন্য অবস্থা নিয়ে কিছু বলেন না। কোথায় বসে আমাদের মন্ত্রককে কাজ করতে হয়। এবং তারা কখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই নতুন অফিস নিয়ে কিছু বলবেন না। বলবেন না এই অফিস নির্মাণ কতটা জরুরি ছিল। কেননা তা করলে তাদের মিথ্যে ও এজেন্ডা ধরা পড়ে যেত।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পেরই অন্তর্গত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই দপ্তর। কস্তুরবা গান্ধী মার্গ ও আফ্রিকা অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নবনির্মিত অফিস দু’টিতে সব মিলিয়ে ৭ হাজার প্রতিরক্ষা কর্মী কাজ করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।