Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home সাদ্দাম হোসেনের ফাঁ’সির সময়ে যে মার্কিন সেনারা কেঁদেছিলেন
    আন্তর্জাতিক

    সাদ্দাম হোসেনের ফাঁ’সির সময়ে যে মার্কিন সেনারা কেঁদেছিলেন

    August 3, 2019Updated:August 3, 20196 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক : ২০০৪ সালের জুন মাসে সাদ্দাম হোসেনকে ইরাকি অন্তবর্তী সরকারের কাছে তুলে দেয়া হয় বিচারের জন্য। এর আগের বছর ডিসেম্বর মাসে মার্কিন বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। জীবনের শেষ দিনগুলোতে তাকে পাহারা দিয়েছিলেন ১২ জন মার্কিন সৈন্য। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তারা সাদ্দাম হোসেনকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন না। কিন্তু সাদ্দামের শেষ সময়ের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন ওই ১২ আমেরিকান সৈন্য। আক্ষরিক অর্থেই শেষ মুহূর্ত অবধি তারাই ছিলেন সাদ্দামের সঙ্গে। খবর : বিবিসি বাংলা

    মার্কিন ৫৫১ নম্বর মিলিটারি পুলিশ কোম্পানির ওই ১২ জন সেনাসদস্যকে ‘সুপার টুয়েলভ’ বলে ডাকা হতো। তাদেরই একজন, উইল বার্ডেনওয়ার্পার একটি বই লিখেছেন, ‘দা প্রিজনার ইন হিজ প্যালেস, হিজ অ্যামেরিকান গার্ডস, অ্যান্ড হোয়াট হিস্ট্রি লেফট আনসেইড’ নামে। বাংলা করলে বইটির নাম হতে পারে ‘নিজের প্রাসাদেই এক বন্দী, তার আমেরিকান প্রহরী – ইতিহাস যে কথা বলেনি’।

    বইটি জুড়ে রয়েছে সাদ্দাম হোসেনকে তার শেষ সময় পর্যন্ত সুরক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা। উইল বার্ডেনওয়ার্পার স্বীকার করেছেন যে, তারা যখন সাদ্দাম হোসেনকে জল্লাদদের হাতে তুলে দিলেন ফাঁ’সির জন্য, তখন তাদের ১২ জনের চোখেই পানি এসে গিয়েছিল।

    দাদুর মতো দেখতে লাগত সাদ্দামকে :

    বার্ডেনওয়ার্পার তারই এক সেনা-সঙ্গী রজারসনকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন,‘আমরা কখনও সাদ্দামকে মানসিক বিকারগ্রস্ত হত্যাকারী হিসাবে দেখিনি। তার দিকে তাকালে নিজের দাদুর মতো লাগত অনেক সময়ে।’

    ইরাকের জেলে জীবনের শেষ সময়টুকু কাটানোর সময়ে সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান গায়িকা মেরি জে ব্লাইজার গান শুনতেন নিয়মিত। নিজের এক্সারসাইজ বাইকে চড়তে পছন্দ করতেন সাদ্দাম। ওটার নাম দিয়েছিলেন ‘পনি’। মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসতেন। মাঝেমধ্যেই মাফিন খেতে চাইতেন।

    বার্ডেনওয়ার্পার লিখেছেন, নিজের জীবনের শেষ দিনগুলোতে সাদ্দাম তাদের সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করতেন। ওই ব্যবহার দেখে বোঝাই যেত না যে সাদ্দাম হোসেন কোনও এক সময়ে একজন অত্যন্ত নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন।

    কাস্ত্রো তাকে সিগার খেতে শিখিয়েছিলেন :

    সাদ্দামের ‘কোহিবা’ সিগার খাওয়ার খুব নেশা ছিল। মনে করা হয় কিউবার সিগারের মধ্যে এই ‘কোহিবা’ সবার চেয়ে সেরা সিগারগুলোর অন্যতম। ভেজা ওয়াইপে জড়িয়ে একটা বাক্সের মধ্যে রাখা থাকত সিগারগুলো। সাদ্দাম নিজেই বলেছিলেন যে বহু বছর আগে ফিদেল কাস্ত্রো তাকে সিগার খাওয়া শিখিয়েছিলেন।

    সিগার ছাড়াও সাদ্দাম হোসেনের আরেকটা শখ ছিল বাগান করা। জেলের ভেতরে অযত্নে ফুটে থাকা জংলী ঝোপঝাড়গুলোকেও তিনি একটা সুন্দর ফুলের মতো মনে করতেন। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে খুবই সংবেদনশীল ছিলেন সাদ্দাম। সকালের নাস্তাটা তিনি কয়েকটা ভাগে খেতেন – প্রথমে অমলেট, তারপর মাফিন আর শেষে তাজা ফল। ভুল করেও যদি তার অমলেটটা টুকরো হয়ে যেত, সেটা তিনি খেতেন না।

    ভাইয়ের মৃ’ত্যু সংবাদ :

    সাদ্দাম হোসেনের নিরাপত্তার জন্য নিযুক্ত আমেরিকান সেনারাই তাকে একদিন জানিয়েছিলেন যে তার ভাই মা’রা গেছেন। যে সেনাসদস্য খবরটা দিয়েছিলেন, সাদ্দাম তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আজ থেকে তুমিই আমার ভাই।’

    আরেকজন প্রহরীকে বলেছিলেন, ‘যদি আমার সম্পত্তি ব্যবহার করার অনুমতি পাই, তাহলে তোমার ছেলের কলেজে পড়তে যা খরচ লাগবে, সব আমি দেব।’

    এক রাতে বছর কুড়ি বয়সের সেনা প্রহরী ডসন বাজে মাপে কাটা একটা স্যুট পড়ে ঘুরছিল। জানা গেল যে ডসনকে ওই স্যুটটা সাদ্দাম উপহার হিসাবে দিয়েছেন।

    বার্ডেনওয়ার্পারের কথায়, ‘বেশ কয়েকদিন আমরা সবাই ডসনকে নিয়ে হাসাহাসি করছিলাম ওই স্যুটটার জন্য। ওটা পড়ে ও এমন ভাবে হাঁটাচলা করত, যেন মনে হতো কোনও ফ্যাশন শো’য়ে ক্যাটওয়াক করছে ডসন।’

    সাদ্দাম আর তার প্রহরীদের মধ্যে বন্ধুত্ব বেশ ঘন হয়ে উঠছিল, যদিও তাদের ওপরে কড়া নির্দেশ ছিল যে সাদ্দামের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টাও যেন কেউ না করে। মামলা চলাকালে সাদ্দাম হোসেনকে দুটো জেলে রাখা হয়েছিল। এক জেল ছিল আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের কয়েদখানা, আর অন্যটা উত্তর বাগদাদের সাদ্দামেরই একটা প্রাসাদে। ওই প্রাসাদটা ছিল একটা দ্বীপে। একটা সেতু পেরিয়ে ওই দ্বীপে যেতে হতো।

    স্টিভ হাচিনসন, ক্রিস টাস্করের মতো কয়েকজন প্রহরী ওই প্রাসাদেরই একটা স্টোর রুমে সাদ্দামের দপ্তর তৈরি করে দিয়েছিল।

    সাদ্দামের দরবার :

    সাদ্দাম হোসেনকে একটা চমক দেওয়ার ইচ্ছা ছিল সবার। পুরনো, ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র থেকে একটা ছোট টেবিল আর চামড়ার ঢাকনা দেওয়া একটা চেয়ার নিয়ে আসা হয়েছিল। টেবিলের ওপরে ইরাকের একটা ছোট পতাকাও রাখা হয়েছিল।

    ‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম জেলের ভেতরেই সাদ্দামের জন্য শাসনকাজ পরিচালনার মতো একটা অফিস তৈরি করতে। যখন সাদ্দাম ওই ঘরটায় প্রথমবার গিয়েছিলেন, একজন সেনা সদস্য হঠাৎই খেয়াল করে যে টেবিলের ওপরে ধুলো জমে আছে। সে ধুলো ঝাড়তে শুরু করেছিল,’ লিখছেন বার্ডেনওয়ার্পার।

    ওই আচরণটা সাদ্দামের নজর এড়ায়নি। চেয়ারে বসতে বসতে তিনি মুচকি হেসেছিলেন। তারপর থেকে তিনি রোজ ওই চেয়ারে এসে বসতেন। তার নিরাপত্তার জন্য নিযুক্ত সেনাপ্রহরীরা সবাই সামনের চেয়ারগুলোতে বসতেন। যেন সাদ্দাম নিজের দরবারে বসেছেন।

    নিরাপত্তা রক্ষীরা চেষ্টা করত সাদ্দামকে খুশি রাখতে। তার বদলে সাদ্দামও সকলের সঙ্গে হাসি-মস্করা করতেন।

    কয়েকজন রক্ষী পরে বার্ডেনওয়ার্পারকে বলেছিলেন যে তারা বিশ্বাস করতেন ‘যদি তাদের কোনও ঝামেলায় পড়তে হয়, তাহলে সাদ্দাম তাদের বাঁচানোর জন্য নিজের জীবনও বাজি রেখে দিতে পারেন।’

    যখনই সময়-সুযোগ পেতেন, তখনই সাদ্দাম হোসেন পাহারার দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের পরিবারের খোঁজখবর নিতেন।

    বার্ডেনওয়ার্পারের বইটাতে সবথেকে আশ্চর্যজনক যে বিষয়টার উল্লেখ রয়েছে, সেটা হল সাদ্দামের মৃ’ত্যুর পরে তার প্রহরীরা রীতিমতো শোক পালন করেছিলেন, যদিও তিনি আমেরিকার কট্টর শত্রু ছিলেন।

    প্রহরীদেরই একজন, অ্যাডাম রজারসন উইল বার্ডেনওয়ার্পারকে বলেছিলেন, ‘সাদ্দামের ফাঁ’সি হয়ে যাওয়ার পরে আমার মনে হচ্ছে আমরা ওর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। নিজেদেরই এখন তার হত্যাকারী বলে মনে হচ্ছে। এমন একজনকে মেরে ফেললাম আমরা, তিনি যেন আমাদের খুব আপনজন ছিলেন।’

    সাদ্দামের ফাঁ’সির পরে যখন তার ম’রদেহ বাইরে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন সেখানে জমা হওয়া লোকজন মৃ’তদেহের ওপরে থুতু ছিটিয়েছিল। ওই ঘটনা দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল আমেরিকান সেনারা

    বার্ডেনওয়ার্পার লিখছেন, ওই নোংরামি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন তারা সকলে, বিশেষ করে যে ১২ জন তার শেষ সময়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

    তাদেরই মধ্যে একজন ওখানে জমা হওয়া লোকজনের কাছে হাত জোড় করে তাদের থামাতে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দলের বাকিরা তাকে টেনে সরিয়ে নেয়। ওই ১২ জনের অন্যতম, স্টিভ হাচিনসন সাদ্দামের ফাঁ’সির পরেই আমেরিকার সেনাবাহিনী থেকে ইস্তফা দেন।

    হাচিনসন এখন জর্জিয়ায় বন্দুক চালনা আর ট্যাকটিক্যাল ট্রেনিং দেওয়ার কাজ করেন। তার মনে এখনও ক্ষোভ রয়েছে, কারণ সেদিন যেসব ইরাকি সাদ্দামের মৃ’তদেহকে অপমান করছিল, তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে না পড়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল তাদের।

    সাদ্দাম হোসেন কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত আশা করতেন যে তাঁর ফাঁ’সি হবে না। একজন রক্ষী, অ্যাডাম রোজারসন বার্ডেনওয়ার্পারকে বলেছিলেন, কোনও নারীর সঙ্গে প্রেম করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সাদ্দাম। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে আবারও বিয়ে করার ইচ্ছাও হয়েছিল তাঁর।

    ২০০৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর তিনটে নাগাদ ঘুম থেকে ডেকে তোলা হয়েছিল। তাকে জানানো হয়েছিল যে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁ’সি দেওয়া হবে। এই কথাটা শোনার পরে সাদ্দামের ভেতরের সব বিশ্বাস ভেঙ্গে পড়েছিল। তিনি চুপচাপ গোসল করে ফাঁ’সির জন্য তৈরি হয়ে নিয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, ‘সুপার টুয়েলভের সদস্যরাও কি ঘুমোচ্ছে?’

    ফাঁ’সির কয়েক মিনিট আগে স্টিভ হাচিনসনকে কারাকক্ষের বাইরে ডেকে পাঠান সাদ্দাম হোসেন। লোহার শিকগুলোর মধ্যে দিয়ে হাতটা বের করে নিজের রেমন্ড ওয়েইল হাতঘড়িটা দিয়ে দেন স্টিভকে। হাচিনসন আপত্তি করেছিলেন। তবে সাদ্দাম কিছুটা জোর করেই ঘড়িটা স্টিভের হাতে পরিয়ে দেন।

    জর্জিয়ায় হাচিনসনের বাড়ির একটা সিন্দুকে রাখা ঘড়িটা এখনও টিক টিক করে চলছে।’

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts

    ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনার’ প্রস্তাব দিলেন পুতিন

    May 11, 2025
    যুদ্ধবিরতির নামে যুদ্ধ

    যুদ্ধবিরতির নামে যুদ্ধ? সীমান্তে ফের উত্তেজনা ভারত-পাকিস্তানের

    May 11, 2025
    যুদ্ধবিরতিতে রাজি দিল্লি

    যুদ্ধবিরতিতে রাজি দিল্লি, তবে সিন্ধু পানি নিয়ে ছাড় নয়

    May 11, 2025
    সর্বশেষ সংবাদ
    আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে
    আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করি না: প্রেসসচিব
    ZTE Axon 60 Ultra
    ZTE Axon 60 Ultra: Price in Bangladesh & India
    আগুন ঝরা রোদেও ‘ক্লান্তি’ নেই গাইবান্ধার কৃষকদের
    জুলাইয়ে আহতদের আন্দোলনে
    জুলাইয়ে আহতদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ মোড়
    গ্রীষ্মের আগুনঝরা দিনে
    গ্রীষ্মের আগুনঝরা দিনে হাঁসফাঁস করছে দেশবাসী
    বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ
    বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ, শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বজুড়ে
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা চালক খুন
    রাতের অন্ধকারে হত্যা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাণ গেল অটোরিকশা চালকের
    আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ
    আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ পেজগুলো বন্ধে বিটিআরসির উদ্যোগ
    ইউক্রেনের সঙ্গে ‘সরাসরি আলোচনার’ প্রস্তাব দিলেন পুতিন
    Oppo A79 Pro 5G
    Oppo A79 Pro 5G: Price in Bangladesh & India
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.