জুমবাংলা ডেস্ক: সাতক্ষীরার তালায় প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় চাষকৃত গ্রীষ্মকালীন হলুদ, কালো ও সবুজ তরমুজ চাষে সফলতা পাওয়া গিয়েছে। আশানুরূপ ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। একই সঙ্গে বেশ লাভেরও আশা করছেন চাষিরা। তেতুলিয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন. শিপন বিশ্বাস, সাইফুল বিশ্বাস, শরিফুল বিশ্বাস, ভায়ড়া গ্রামে কৃষক রফিকুল ইসলাম, মুক্তার মহালদার, লিয়াকত মহালদারসহ আরও অনেকই চাষ করেছেন গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ।
তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও ভায়ড়া গ্রামে দেখা গেছে, কৃষকের খেতে মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। টুঙ্কিনারী, বুলেট কিং ও কানিয়া (বাংলালিঙ্ক) জাতের এসব তরমুজের কোনোটি বাজারজাতের সময় হয়েছে কোনোটি এখনো জালি। তরমুজ চাষে সবমিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে পাইকাররা এসে দরদাম করে গেছে। তারা ৩৫-৪০ টাকা কেজি দিতে চায়। এ হিসেবে বিঘা প্রতি অন্তত দেড় থেকে দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় আমার কমপক্ষে ছয়গুণ লাভ হবে। তরমুজ চাষি ইকবাল হোসেন বলেন, আমি প্রথমবারের মতো এক বিঘা পাঁচ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছি। এজন্য মে মাসের শেষ সপ্তাহে বীজ রোপণ করি। ইতোমধ্যে আমার খেত তরমুজে ভরে গেছে। তরমুজ বিক্রি শুরু করেছি। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় একটি এনজিও তাকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে তরমুজ চাষের জন্য বীজ, মালচিং পেপার, জৈব সার, ফেরোমন ফাঁদ এমনকি চাষাবাদের জন্য নগদ টাকাও দিয়েছে। আমরা প্রথমে একটু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলেও এখন দেখছি আসলেই গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ অত্যন্ত লাভজনক।
তালা তেঁতুলিয়া গ্রামে তরমুজ চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণত ধান ও পাট উঠতে চার মাসের অধিক সময় লাগে। সেখানে তরমুজ ওঠে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে। তরমুজে লাভও ধান বা পাটের চেয়ে কমপক্ষে ছয় থেকে সাত গুণ। আমরা এর পরপরই এই মাচাতেই শসা লাগাবো। তাও দুইমাসের মধ্যে বিক্রয়যোগ্য হয়ে যাবে। অর্থাৎ একবার ধান বা পাট উঠতে যে সময় লাগে, তাতে একবার তরমুজ একবার শসা চাষ করা যায়।
উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর দাশ বলেন, তালার ভায়ড়া ও তেঁতুলিয়া গ্রামে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। প্রথমবারেই তারা উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছে। আশা করি মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের প্রযুক্তি এই এলাকায় আরও সম্প্রসারিত হবে। সরকারের কৃষি বিভাগও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের এই প্রযুক্তি আগামীতে আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।