১৯১৪ সালের ৮ মার্চের দিন মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান টেক অফ করার পর তার গন্তব্য বেইজিং পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি এ বিমানটি কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। তবে ঠিক আট বছর পর এ বিমানটি খোঁজ পাওয়া নিয়ে আশা পাওয়া গিয়েছিল।
১০ জন কেবিন ক্রু, দুইজন পাইলট এবং ২৮৭ জন প্যাসেঞ্জার নিয়ে বিমানটি বেইজিং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। দুইজন পাইলট অনেক অভিজ্ঞ ছিলেন এবং বেশিরভাগ যাত্রীরা ছিলেন চীনের বাসিন্দ। বিমানটিতে কোনরকম সমস্যা ছিল না।
বিমানটি দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। রাত একটার দিকে বিমানটি ভিয়েতনামের দিকে যেতে থাকে। তারপর কুয়ালামপুরের কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে এটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটি যেন রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
ভিয়েতনামের কন্ট্রোল টাওয়ারের রাডার থেকে বিমানটি অদৃশ্য হয়ে গেলে বোঝা যায় যে কোথাও সমস্যা হয়েছে। অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও বিমান থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। বিমানটি সময় মত ল্যান্ড করেনি।
সাতটি জাহাজ এবং ২৮টি এয়ারক্রফ্টের মাধ্যমে সার্চ অপারেশন শুরু করা হয় বিমানটির খোঁজ নেওয়ার জন্য। সারা পৃথিবীতে এ নিউজ ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায় যে, মালয়েশিয়ার মিলিটারির রাডারে এক ঘন্টা সময় পর্যন্ত বিমানের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য সবাইকে বেশ অবাক করেছিল। বিমানটি পুনরায় মালয়েশিয়ার দিকে ফিরে যাচ্ছিল এবং ভারত মহাসাগর পর্যন্ত চলে গিয়েছিলো। বেইজিং এ না গিয়ে বিমানটি কেন ইউ টার্ন করেছিল এটাই ছিল রহস্যের বিষয়।
Rescue টিম যখন সাউথ চায়না সাগরে বিমানের খোঁজ করছিল তখন এটি ভারত মহাসাগরের উপরে অবস্থান করছিল। ধারণা করা হয় যে জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিমানটি ভারত মহাসাগরে ডুবে যায়।
কয়েক বছর ধরে সার্চ অপারেশন চলার পরেও তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। ১৬০ মিলিয়ন ডলার খরচ হলো। তিন বছর পর এ অপারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ধারণা করা হয় বিমানে ইলেকট্রনিক ফল্ট হয়েছিল বা হাইজ্যাক করা হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।