জুমবাংলা ডেস্ক : মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ অভিবাসীকে বৈধকরণ প্রক্রিয়া ‘আরটিকে দু’ দশমিক শূন্য’ বন্ধ করে দেয়ায় এখন লাখ লাখ বাংলাদেশী অবৈধ হওয়ার পথে। ফলে লাখ লাখ শ্রমিক এখন আইনি ঝুঁকিতে রয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা নতুন বৈধকরণ প্রক্রিয়া ‘আরটিকে তিন দশমিক শূন্য’ চালুর দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১০০ কোম্পানি মালিকের অংশগ্রহণে এ বিষয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তারা জানিয়েছেন, দেশটির কনস্ট্রাকশন, প্লানটেশন, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সার্ভিস সেক্টরগুলো বিদেশী কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ‘আরটিকে দু’ দশমিক শূন্য’ বন্ধ হলে এই সেক্টরগুলো চালাতে তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
তারা আরো বলেছেন, নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় থাকা হাজার হাজার বিদেশীকর্মী এখনো আটক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন, যদিও তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নিবন্ধন করেছেন।
এছাড়াও মালয়েশিয়ার চার শতাধিক নিয়োগকর্তা অবৈধদের বৈধকরণ কর্মসূচি পুনরায় চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
তথ্য বলছে, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় এক মিলিয়ন বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে সেকেন্ড হোমধারী, ব্যবসায়ী, পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট, শিক্ষার্থী এবং পর্যটকও রয়েছেন। মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের পর, দক্ষিণ এশিয়ার ‘ইউরোপ’ হিসেবে পরিচিত, এবং এখানে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলছে। এই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
যদি দ্রুত বৈধকরণ প্রক্রিয়া, ‘আরটিকে তিন দশমিক শূন্য’ চালু না হয়, তাহলে অনেক বাংলাদেশী দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হবেন, যা রেমিট্যান্স প্রবাহেও বড় ক্ষতি করবে।
মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, ২০২১ সালে ‘আরটিকে দু’ দশমিক শূন্য’ চালুর পর ২০২৩ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ অবৈধ অভিবাসী বৈধ হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, তবে ২০২৩ সালের শেষের দিকে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের অনেকেই এখনো বৈধতা অর্জন করতে পারেননি এবং সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নিবন্ধন করার পরও তাদের ভিসা হয়নি।
গত সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় অবৈধদের বৈধকরণ কর্মসূচির আওতায় বিদেশী কর্মীদের নতুন নিবন্ধন ও আগের পেমেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চার শতাধিক কোম্পানির মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
দেশটির সরকারি গণমাধ্যম ‘বারনামা’ জানিয়েছে, কোম্পানি মালিকদের একজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘আরটিকে দু’ দশমিক শূন্য’ কর্মসূচি বন্ধ হওয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের নিয়মিত কর্মী হিসেবে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।