মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছে, বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের কলিং ভিসার আবেদন ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিন ইসমাইল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কৃষি, বৃক্ষরোপণ, খনি ও আরও ১০টি নির্দিষ্ট উপখাতের জন্য কেস বাই কেস ভিত্তিতে আবেদন গ্রহণ করা হবে।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষি, বৃক্ষরোপণ ও খনি— এই তিনটি প্রধান খাতসহ আরও ১০টি নির্দিষ্ট উপখাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটার জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। এসব আবেদন আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘কেস বাই কেস’ ভিত্তিতে গ্রহণ করা হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কৃষি, বৃক্ষরোপণ ও খনি—এই তিনটি খাতের সব উপখাতেই বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন করা যাবে।
পরিষেবা খাতের অনুমোদিত উপখাতগুলো হলো- পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, ওয়্যারহাউস, সিকিউরিটি গার্ড, মেটাল ও স্ক্র্যাপ ম্যাটেরিয়াল, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো এবং বিল্ডিং ক্লিনিং।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, নির্মাণ খাতে শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের জন্য বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে। অন্যদিকে, উৎপাদন খাতের অধীনে কেবল মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (MIDA) আওতায় নতুন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন করতে পারবে।
সাইফুদ্দিন নাসুতিন বলেন, আগের মতো এজেন্ট বা নিয়োগকর্তারা অবাধে আবেদন করতে পারবেন না। এই দফায় আবেদনগুলো সংশ্লিষ্ট খাতের সংস্থাগুলোর মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
তিনি জানান, আবেদনগুলো প্রথমে বিদেশি কর্মী কারিগরি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর যৌথ কমিটির সভায় তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।
বিদেশি কর্মী নীতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জন শ্রমিকের কোটা চালু আছে, যা বছর শেষ (৩১ ডিসেম্বর-২০২৫) পর্যন্ত বহাল থাকবে। এরপর বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ সীমিত করে কেবল দেশের মোট জনশক্তির ১০ শতাংশ পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হবে।
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ। তবে এই সংখ্যা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। ১৫ শতাংশের এই ঊর্ধ্বসীমা চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে এবং নতুন ১০ শতাংশের সীমা ২০২৬ সালের প্রথম বা দ্বিতীয় প্রান্তিকে চূড়ান্ত করা হবে— সাইফুদ্দিন যোগ করেন।
তরুণীর অভিনব কৌশল: প্রেমিকদের দেওয়া ২০ আইফোন বিক্রি করে কিনলেন বাড়ি!
উল্লেখ্য, দীর্ঘ চার বছরের নিষেধাজ্ঞার পর ২০২২ সালের ৯ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ৫৩ জন কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়। এর সাত মাস পর ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ এক বিবৃতিতে তৎকালীন মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন স্থগিতের ঘোষণা দেন, যা ১৯ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
তবে, নতুন এ ঘোষণায় কতজন বাংলাদেশি আবেদন করতে পারবেন, তা জানায়নি দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা মিডিয়াগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।