জুমবাংলা ডেস্ক : মালয়েশিয়া শ্রমবাজার ঘিরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভেঙে শ্রমবাজারটি চালুর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) নেতারা। একইসঙ্গে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন তারা।
সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বায়রার সাবেক নেতা ও রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। ওই স্মারকলিপিতে তারা কিছু মৌলিক দাবি তুলে ধরেছেন।
দাবিসমূহ হলো—আসন্ন JWG (Join Working Group) -মিটিংয়ে দুই দেশের সঙ্গে সম্পন্ন হওয়া পূর্বের সমঝোতা স্মারকের MOU-এর পৃষ্ঠা নং ২৮-এর (C)-এর (v) এবং (vi) ধারা বাদ দিতে হবে অথবা পরিবর্তন করতে হবে। যাতে অন্যান্য সোর্সিং দেশের ন্যায় মালয়েশিয়ান সরকারের পরিবর্তে, মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তা বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি পছন্দ করবে; মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য নয়; বরং সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং কম খরচে কর্মী পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে ; বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত FWCMS অনলাইন পদ্ধতি বাতিল করার জন্য মালয়েশিয়া সরকারের নিকট দাবি জানাতে হবে ; সিন্ডিকেটের মূল হোতাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে করে বিপ্লবী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ন থাকে।
এ ছাড়াও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন ও মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দাতুশ্রী আমিনের নেতৃত্বে সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শেখ পরিবারের শেখ রেহানা, ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রটোকল অফিসার ও সাবেক এম পি আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম, সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল ও তার পরিবার, সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক সচিব ড. মনিরুস সালেহীন, সাবেক এম পি বেনজির আহমেদ, সাবেক এম পি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ, সাবেক এম পি নিজাম হাজারী, বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাসার, বায়রার সাবেক মহাসচিব আলি হায়দার চৌধুরীসহ সাবেক সরকারের প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজশে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে চরম অরাজকতা, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
এই চক্র অনলাইন পদ্ধতি (এফডব্লিউসিএমএস FWCMS) কে ব্যবহার করে দাতোশ্রী আমিনের বাংলাদেশের পার্টনার রুহুল আমিন স্বপন ২০১৬ থেকে ২০১৮ এবং ২০২২ থেকে ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া যাওয়া প্রায় ৮ লাখ ১১ হাজার ৮৪৫ জন কর্মী থেকে জনপ্রতি চাঁদা নেয় ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এ হিসেবে মোট চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ হাজার তিনশত চল্লিশ কোটি চার লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা।
আহমেদ আকবর সোবহান: বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের ব্যাংক ও শেয়ার অবরুদ্ধ
উল্লেখ্য, সকল রিক্রুটিং এজেন্সির পক্ষে ওই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন বায়রার সদ্য সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজুল ইসলাম,সদ্য সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আকবর হোসেন মঞ্জু, সদ্য সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ নোমান চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সিনিয়র সদস্য খন্দকার আবু আশফাক, সদ্য-সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব-১ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও বায়রার সদ্য-সাবেক ইসি সদস্য মোস্তফা মাহমুদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।