মালয়েশিয়া জুড়ে পরিচালিত অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযানে রাজধানী কুয়ালালামপুরের ডেসা পার্ক সিটিতে অভিযান চালিয়ে একরাতে গ্রেফতার একশত ৩১ বাংলাদেশী।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে বারোটায় কুলালালাপুর অভিবাসন বিভাগের নেতৃত্বে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে ২৫৩ জনকে গ্ৰেফতার। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৩১, ইন্দোনেশিয়ার ১১২, পাকিস্তান ও মায়ানমারের নাগরিক একজন। কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনের পরিচালক হামিদি এডাম জানান, তথ্য ও বুদ্ধিমত্তার কারণে “অভিযানে বিভিন্ন অভিবাসন অপরাধে ২৫ থেকে ৪৮ বছর বয়সী ৩৬ মহিলাসহ ২৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
হামিদী বলেন, তদন্তে দেখা গেছে যে দক্ষিণ-পশ্চিম হাইওয়ে প্রকল্পের (পিএলইউএস) মালিকানাধীন এই অঞ্চলটি অবৈধভাবে বাড়িঘর এবং খাবারের দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করতো।তিনি বলেন, আটককৃতদের বেশিরভাগই আশেপাশের কাজ করা নির্মাণকর্মী ।
গ্রেফতারের শিকার অদিকাংশ অভিবাসীদের কাজের ভিসা শেষ হওয়ার পরও অবস্থান এবং জাল ভিসা পাওয় যায়।
তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর বিধি ৩৯ (খ) এবং ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯ / ৬৩ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বরাত দিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, এখন থেকে ইমিগ্ৰেশন বাহিনীর হাতে আটক কাগজপত্র বিহীন বিদেশি অভিবাসিদের আটকের পর বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
অভিবাসন সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া জুড়ে অভিবাসন বিভাগের চৌদ্দটি ক্যাম্প রয়েছে, যেখানে ইমিগ্রেশন ও পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের ওই ক্যাম্পে রাখার পর স্থানীয় আদালতে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হয়। এছাড়াও শাস্তির মেয়াদ শেষ হলে ওই ক্যাম্পে দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে হয় অভিবাসীদের। আর এই বিশেষ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুত বিচার কার্যক্রম এবং দীর্ঘ পথ অতিক্রম এর সফলতা আসবে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।