স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের ম্যাচ তখন প্রথম ইনিংসের ৩৪তম ওভার। স্ট্রাইকিং প্রান্তে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি, বল করছেন বাংলাদেশের পার্ট টাইম মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার।
ওভারের চতুর্থ বল করলেন সৌম্য। ডেলিভারিকে ডিপ স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে দৌড়ে দুইবার প্রান্ত বদল করলেন কোহলি ও রিশাভ পান্ট। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মনে দ্বিধা। বল কি পায়ে লেগেছিল?
কোহলিরা দৌড়াচ্ছেন বলে সবার মনোযোগ বলের দিকে। ফিল্ডারের হাত ঘুরে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতেই মাশরাফি বিন মুর্তজার মনে পড়ল, রিভিউ নেওয়া যেতে পারে! বাংলাদেশ অধিনায়ক দিলেন রিভিউয়ের সংকেত।
কিন্তু বিধি বাম! আম্পায়ার রিভিউ নিতে দিচ্ছেন না! মাশরাফি রিভিউ চাওয়ার পরও আম্পায়ার রিভিউয়ে যাচ্ছেন না, ফলে মুহূর্তেই অবাক সবাই। তবে পরক্ষণেই আম্পায়ার জানালেন- রিভিউ নেওয়ার সময়ই যে শেষ! তাই সবার ভুল ভাঙল এই জেনে- ভুলটা করেছিলেন মাশরাফিই।
সৌম্যর ঘণ্টাপ্রতি ১২৫ কিলোমিটার গতির বল কোহলির ব্যাটে লেগে ছুটে যাওয়ার পর রিভিউ নেওয়ার আগপর্যন্ত সময় ক্ষেপণ হয়েছে ২৬ সেকেন্ড! যদিও নিয়ম বলছে, রিভিউ নিতে হলে সেই সিদ্ধান্ত জানাতে হবে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে। মাশরাফি সময় নিয়েছিলেন ১১ সেকেন্ড বেশি। আম্পায়ার তো নাকচ করবেনই!
তবে মাশরাফি এক্ষেত্রে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। বলটি কোহলির পায়ে লাগেনি, লেগেছিল ব্যাটেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিভিউ নিয়ে নিলে সেটি হত ব্যর্থ প্রয়াস। যদিও ঘটনা সাথে সাথে বুঝতে না পেরে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন, আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস বুঝি মাশরাফিকে রিভিউ নিতে মানা করেছেন!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।