স্পোর্টস ডেস্ক : সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে ২৪ রানে জয় পেল ঢাকা প্লাটুন। প্লাটুন প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮৩ রানের বড় লক্ষ্য জুড়ে দেয় সিলেটের সামনে।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। স্কোড় বোর্ডে ৬০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় মোসাদ্দেকরা।
এদিকে, দুর্দান্ত বোলিংয়ে করে জোড়া উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট খরা কাটিয়ে মাশরাফিও তুলে নেন দুই উইকেট।
মোসাদ্দেকের হাফ সেঞ্চুরি : সিলেটকে একাই টেনেছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। একাই দলের জন্য লড়ে যাচ্ছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন লড়াকু এক হাফ সেঞ্চুরি। ৩৪ বল খেলেছেন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে, যেখানে ৫ চার এবং ২ ছক্কা মেরেছেন তিনি।
তাঁর সঙ্গে উইকেটে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিশমার সান্টোকি। তিনি ব্যাটিং করেছেন ৩ রানে। জিততে হলে সিলেটের প্রয়োজন ১২ বলে ৪১ রান।
বিধ্বংসী ফ্লেচারকে ফেরালেন মাহমুদ : ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ১ চার এবং ১ ছক্কায় ১২ রান তুলে নেন সিলেট থান্ডারের ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। শুরুতেই বিধ্বংসী রূপ দেখানো উইন্ডিজের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট করে ফেরান তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ।
শর্ট বলে ডানহাতি ফ্লেচারকে পরাস্ত করে মিড অনে থাকা জাকের আলীর হাতে ক্যাচ বানান মাহমুদ। ৫ রান দিয়ে ওভার শেষ করেন তিনি। কিন্তু পরের ওভারে থিসারা পেরেরার বিপক্ষে ১৮ রান তুলে নেন তিনে নামা আরেক ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস। তিন চার , এক ছক্কা হাঁকান তিনি।
রানআউট হয়ে ফিরলেন নাঈম : দলের বিপর্যয়ে মোসাদ্দেকের সঙ্গে জুটি গড়েন নাঈম হাসান। তাঁদের দুইজনের ৩৬ রানের জুটি ভাঙেন তরুণ হাসান মাহমুদ। নিজের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ১০ রান করা নাঈমকে রানআউট করে ফেরান তিনি।
যদিও তাঁর ওভারের পঞ্চম বলটি নো বলের সংকেত দেন আম্পায়ার। তবু দলকে উইকেট এনে দেন মাহমুদ।
ফ্লেচারের বিদায়ের পর রনি তালুকদারকে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ। এরপর ভুল বোঝাবুঝি রান আউট হয়ে ফেরেন চার্লস। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হয়েছেন শফিকউল্লাহ শফিক। রনি ১৪, চার্লস ১৯ এবং শফিক আউট হন ২ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট থান্ডারঃ ১৫৮/৭, ওভার-২০
(মোসাদ্দেক ৬০*, চার্লস ১৯; হাসান মাহমুদ ২/২৪, মাশরাফি ২/২৯)।
ঢাকা প্লাটুন : ২০ ওভারে ১৮২/৪ (এনামুল ৬২, তামিম ৩১, মোসাদ্দেক ১/১৬, দেলোয়ার ১/২৮)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।